নয়াদিল্ল: পাঞ্জাবে (Punjab Assembly Elections Result 2022) বিপুল জয়ের পর অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদির (Narendra MKodi) বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে শুরু করেছেন দলের নেতারা। সেই লক্ষ্য পূরণে আগামী দিনে গুজরাতের পাশাপাশি হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও নাম লেখাতে পারে আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party/AAP)। চলতি বছরের শেষে অথবা ২০২৩ সালের শুরুতে ওই দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। তাতে অংশগ্রহণ করতে দলের তরফে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে আপ সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। তাতে ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২টিতেই জয়ী হয়েছে আপ। কংগ্রেস মাত্র ১৮টি, শিরমোণি অকালি দল চারটি এবং বিজেপি মাত্র দু’টি আসনে জয়ী হয়েছে। তার পরই আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে আপের ভূমিকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কোনও রাখঢাক না করে দলের নেতা রাঘব চাড্ডা সাফ জানিয়ে দেন যে, জাতীয় রাজনীতিতে আপ-কে শক্তিশালী দল হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন তিনি। কেজরিওয়ালই মোদির প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাঘবের এই মন্তব্যকে সমর্থন করছেন দলের ছোট-বড় নেতারাও। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দলের তকমা কাটিয়ে জাতীয় দল হয়ে ওঠা জরুরি। তার জন্যই গুজরাত এবং হিমাচলের তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। গুজরাতে ইতিমধ্যেই প্রচারকার্য শুরু করে দিয়েছে আপ। শীঘ্রই সেখানে রাজনৈতিক সফরে যাবেন কেজরিওয়াল এবং পাঞ্জাবের হবু মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান। সেখানে ভূমিপুত্র মোদির মোকাবিলা করা কঠিন হলেও, আসলে গুজরাতে কংগ্রেসের (Congress) ভোট কেটে প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠাই লক্ষ্য তাদের।
আরও পড়ুন: Goa Election Result: ফল বেরোতেই বিজেপিকে সমর্থন তৃণমূলের জোটসঙ্গী MGP-র।Bangla
চার রাজ্যে অন্যতম মূল রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারলে এবং প্রত্যেক রাজ্যে অন্তত ৮ শতাংশ ভোট ঝুলিতে পুরতে পারলেই জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের রাস্তা খুলে যায়। তাই পর পর গুজরাত এবং হিমাচলে আপকে ভোটের ময়দানে দেখা যেতে পারে।
৮ শতাংশ ভোট না পেলেও, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য স্তরে হয় ৬ শতাংশ ভোট, সেই সঙ্গে বিধানসভায় দু’টি আসন, অথবা প্রাপ্ত ভোটের হার যাই হোক না কেন, বিধানসভায় তিনটি আসন পেলেই রাজ্যের অন্যতম মূল দল হয়ে ওঠা সম্ভব। বৃহস্পতিবার গোয়াতেও ৬.৭৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে আপ। তাই এই মুহূর্তে গুজরাত এবং হিমাচলকেই তারা পাখির চোখ করছে বলে খবর।
এই মুহূর্তে দেশে আটটি জাতীয় দল রয়েছে—অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টি, ভারতীয় জনতা পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। সেই তালিকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাই লক্ষ্য আপের।