নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যের ভোটে (Assembly Elections 2022) চার রাজ্যেই গেরুয়া ঝড়। উত্তরপ্রদেশ-উত্তরাখণ্ডে (Uttar Pradesh and Uttarakhand) নিরঙ্কুশ বিজেপি (BJP), মণিপুর-গোয়ায় (Manipur and Goa) একক বৃহত্তম দল। রেকর্ড গড়ে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) কামব্যাক।
বুলডোজারে বিরোধীদের গুঁড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের কুর্সিতে ফের যোগী আদিত্যনাথ। তিন দশক পর উত্তরপ্রদেশে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরল কোনও সরকার। গতবারের থেকে আসন বাড়লেও, বিজেপির থেকে অনেক পিছনে রইল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর নেতৃত্বে দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস।
এই দুর্দান্ত ফলে উচ্ছ্বসিত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দলের সদর দফতরে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘আজকের ফলাফলে চার রাজ্যের মানুষ একতরফাভাবে আশীর্বাদ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) উন্নয়নের নীতিকেই সিলমোহর দিয়েছে মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই চার রাজ্যে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। আজকের ফলাফল দিশা দেখিয়েছে, কীভাবে মোদিজির নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। ৩৭ বছর পর প্রথমবার উত্তরপ্রদেশে পরপর দু’বার কোনও দল ক্ষমতায় এল। বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরাখণ্ডেও প্রতি পাঁচ বছর পর ক্ষমতা বদল হয়। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের মানুষও মোদিজির উপরে ভরসা রেখেছে। মণিপুরেও প্রথমবার বিজেপি সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় ক্ষমতায় আসছে। গোয়াতেও পরপর তিনবার সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। মানুষ মোদিজিকে একতরফা আশীর্বাদ দিয়েছে।’
বিরোধীদের আক্রমণ করে নাড্ডা বলেছেন, ‘ভোটপ্রচারে বলা হয়েছিল বিরোধীরা একজোট হয়ে বিজেপির ভোট কাটবে। বিজেপি ভোটারদের রক্ষা করতে সক্ষম, সেটা প্রমাণ হল। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় রাজনীতির সংস্কৃতির বদল করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে ভাই-ভাইপো-পরিবারবাদের রাজনীতি চলে এসেছে। কিন্তু এখন রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়ে রাজনীতি হয়। উত্তরপ্রদেশে পাঁচ বছর আগে ভয়ের পরিবেশ ছিল, মাফিয়ারাজ ছিল। কিন্তু যোগীজি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন। করোনা পরবর্তীকালে ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য আর্থিক নীতির কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। এই গতিতেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ২০২৪-এ এর থেকেও দ্রুতগতিতে জয় হাসিল করতে হবে।’