লখনউ:  বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশে বাকযুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছে।  রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলগুলি একে অপরকে কড়া ভাষায় নিশানা করছে। এরইমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিশানা করলনে সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব। তাঁর দাবি, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক হারের ভয়ে চাপে রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।  ট্যুইট করে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেছেন, আমরা যখন 'কম্প্রেসার' বলি তখন যোগী আদিত্যনাথ তা 'লো প্রেসার' মনে করেন। 'বাবাজী' খুবই ভুল বুঝছেন..আসলে সত্যিটা হল যে, ঐতিহাসিক হারের আতঙ্কে 'বাবাজী' খুবই চাপের মধ্যে রয়েছেন। 


রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে অখিলেশ ও যোগী আদিত্যনাথের মধ্যে বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে।  রাজ্যের শাসক দল বিজেপির ভোটের প্রচারে অখিলেশকে 'বাবুয়া' বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, যোগী আদিত্যনাথকে 'বাবাজী' বলে কটাক্ষ করছেন অখিলেশ।


ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে, উত্তরপ্রদেশে রাজনৈতিক পরিবেশ ততই  প্রতিপক্ষ শিবিরগুলির লড়াইয়ে জমজমাট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ধরনের স্লোগান, শব্দ বিন্যাসে একে অপরকে বিঁধছে রাজনৈতিক দলগুলি। 


দেশের অন্যতম বড় এই রাজ্যে বিধানসভায় মোট আসন ৪০৩টি। এর আগে ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) ৩১২টি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছিল। এই ফলাফলে বিশাল উজ্জীবিত হয় গেরুয়া শিবির। সেবার জোট বেঁধে ভোটে যায় সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টি ২৯৮টি আসনে এবং কংগ্রেস বাকি ১০৫টি আসনে প্রার্থী দেয়। তার মধ্যে এসপি কোনওক্রমে ৪৭টি আসন পায়। কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে মাত্র সাতটি আসন। বহুজন সমাজবাদী পার্টিও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। পায় ১৯টি আসন। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ। এরপর গত ৫ বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। ফের একবার জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যে ভোট হতে চলেছে।
এবার আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সাত দফায় উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার ভোটগ্রহণ করা হবে।