আমদাবাদ: জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণে আরও একধাপ এগোল গুজরাত সরকার (Gujarat Government)। সেখানে স্কুলের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হল ‘ভগবত গীতা’ (Bhagavad Gita)। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ‘ভগবত গীতা’ পর্যন্ত পড়ানো হবে পড়ুয়াদের। পড়ুয়াদের আদর্শ মূল্যবোধ এবং নীতি শেখানোর লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে (Gujarat School Curriculum)।
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২২-এর অধীনে চলতি বছরের জুন মাস থেকে এই নয়া পাঠ্যসূচি চালু হচ্ছে। ভারতীয় জ্ঞানতন্ত্র (Indian Knowledge System/IKS) নামক বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় রাখা হচ্ছে এই নয়া পাঠ্যসূচিকে। বৃহস্পতিবার গুজরাত বিধানসভায় এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জিতু বাঘানি। তিনি বলেন, “স্কুল পড়ুয়াদের গীতা এবং গীতার শ্লোকের মর্মার্থ সম্পর্কে বোধ থাকা জরুরি।”
এ দিন বিধানসভার অধিবেশনের পরই সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, ২০২২-’২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের গীতার মূল্যবোধ এবং নীতির সঙ্গে পরিচয় করানো হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্কুলশিক্ষার প্রথম পর্যায়ে ভারতীয় সংস্কৃতি, জ্ঞানতন্ত্রকে রাখা হবে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের গীতার মূল্যবোধ এবং নীতি শেখানো হবে, যাতে এ ব্যাপারে তাদের জ্ঞান এবং আগ্রহ দুই-ই বাড়ে।’
আরও পড়ুন: Hijab Row: হিজাব-বিতর্কে মামলাকারী ছাত্রীরা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য, দাবি উদুপি কলেজের ভাইস চেয়ারম্যানের
পড়ুয়াদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে শুরুতে গল্পচ্ছলে এবং আবৃত্তির ঢঙে গীতার পাঠ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রমে ক্রমে তার পরিবর্তন ঘটবে। মহাত্মা গাঁধীর মতো অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গীতার প্রশংসায় যে যে মন্তব্য করে গিয়েছেন, সেগুলিকে একত্রিত করে একটি অধ্যায় রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে, যা মূল বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে, ঐচ্ছ্বিক নয়। গীতা সম্পর্কে গাঁধীর মতামত নিয়ে প্রশ্নও থাকবে গুজরাতি পরীক্ষায়।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের গীতায় উল্লেখিত সমানাধিকার, মানবাধিকার, কর্মযোগ, আত্মত্যাগের পাঠ দেওয়া হবে। ব্য়বস্থাপনা এবং নেতৃত্বগুণ বোঝাতেও গীতাকেই উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরা হবে পড়ুয়াদের কাছে। এ ছাড়াও, অতিরিক্ত বিষয়ের মধ্যে গীতা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক, প্রবন্ধ লেখা, নাটক, অঙ্কণ প্রতিযোগিতা, শ্লোক আবৃত্তির ব্যবস্থা থাকবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য প্রিন্ট এবং অডিও-ভিস্যুয়াল মাধ্যমে গীতা পড়ানোর ব্যবস্থাও থাকছে বলে জানিয়েছে গুজরাত সরকার।