নয়াদিল্লি: আজ ভাইফোঁটা৷ ভাই-বোনের বন্ধন উদযাপনের বার্ষিক পার্বণ। ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু প্রার্থনার দিন৷ গতকাল প্রতিপদে অনেকেই ফোঁটা দিয়েছেন। আজ দ্বিতীয়াতেও ফোঁটা দেওয়ার ব্যস্ততা তুঙ্গে। সারা দেশেই ভাইফোঁটা সাড়ম্বরেই পালিত হচ্ছে। ভাই-বোনের মধুর সম্পর্কের উদযাপনের এই বিশেষ পর্বে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে বলেছেন, সমস্ত দেশবাসীকে ভাইফোঁটার শুভকামনা। রাখিবন্ধনের পর ভাইফোঁটা অন্য একটি উৎসব যা, ভাই-বোনের আন্তরিক স্নেহের বন্ধনের প্রতি সমর্পিত। 


 






অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ট্যুইট বার্তায় লিখেছেন, সমস্ত দেশবাসীকে ভাই-ফোটা উপলক্ষ্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা। 


শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে তিনি রাজবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 


শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও। 






 


ভাইফোঁটার পৌরাণিক কাহিনী


এক পুরাণ কাহিনী অনুযায়ী, ভগবান সূর্য ও তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যার সন্তান ধর্মরাজ যম ও যমুনা। কিন্তু ভগবান সূর্যের তেজ সহ্য করতে না পেরে সন্ধ্যা দেবী তাঁর সন্তান যমরাজ ও যমুনাকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান। তিনি নিজের জায়গায় তাঁর প্রতিকৃতি ছায়াকে ভগবান সূর্যের কাছে ছেড়ে যান। যমরাজ ও যমুনা ছায়ার সন্তান না হওয়ায় তাঁরা মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হন। কিন্তু ভাইবোনের মধ্যে খুবই স্নেহ-ভালোবাসা ছিল। যমুনার বিয়ের পর যমরাজ বোনের ডাকে যম দ্বিতীয়ার দিন তাঁর বাড়িতে পৌঁছন। ভাই আসায় খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠেন যমুনা। তিনি ভাইকে খুবই আদর আপ্যায়ন করেন। যমরাজকে ফোঁটা দিয়ে পুজো করেন। তারপর থেকে কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে ভাইফোঁটা পালন করা হয়। 


“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা/ যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা/ যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা/ আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।’’ এই ছড়ার সঙ্গে সবাই পরিচিত। ভাইদের মঙ্গল কামনায় ভাইফোঁটায় ছড়া কাটে বোনেরা। এই দিনে ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু প্রার্থনা করে বোনেরা।  এই শুভ দিনে বোনেরা ভাইয়ের কপালে দই, চন্দনের ফোঁটা দেয়।  ভাইয়ের দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য ও সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করে।