গাঁধীনগর : গুজরাতের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ভূপেন্দ্র পটেল। বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 



গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন পটেলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিনিয়র বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র পটেল নিচ্ছেন বিজয় রূপানির জায়গা। দলীয় এক বৈঠকের পর তাঁকে বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। রাজনৈতিক মহলের বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অমিত শাহের পছন্দ ভূপেন্দ্র। গুজরাতের ঘাটলোদিয়া আসন থেকে নির্বাচিত বিধায়ক তিনি। এর আগে আমেদাবাদ পুর নিগম ও আমেদাবাদ নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।    


গুজরাতে অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক ঘটনাক্রমে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে হঠাৎই ইস্তফা দেন বিজয় রূপানি। গতকাল তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র জমা করেন রাজ্যপাল দেবব্রত আচার্যর কাছে। ইস্তফা দেওয়ার পর বিজয় রূপানি সাংবাদিকদের বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওযার জন্য তিনি বিজেপি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।


হঠাৎ কী কারণে তাঁকে ইস্তফা দিতে হল, এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান রূপানি। বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের মানুষের সেবা করেছি। এটা খুবই দীর্ঘ একটা সময়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপিতে এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।  


রূপানি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ২০১৬-র ৭ অগাস্ট। ২০১৬-তে আনন্দিবেন পটেলের জায়গায় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি রাজকোট পশ্চিম আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দ্রনীল রাজ্যগুরুকে হারিয়েছিলেন। ২০১৭-র ২২ ডিসেম্বর বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কার্যকালের পাঁচ বছর গত মাসেই পূর্ণ হয়েছে। নীতীন পটেল হয়েছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। 


উল্লেখ্য,  জুলাই মাসে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা।  উত্তরাখণ্ডে ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চার মাসের মধ্যে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিরথ সিংহ রাওয়াত।