আরারিয়া: নির্ভয়া-কাণ্ডের (2012 Delhi Gang Rape and Murder) পর ধর্ষণ ফাস্টট্র্যাক কোর্টে (Fasttrack Court) ধর্ষণ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। কিন্তু ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতা বিচার দেখে যেতে পারেননি। গ্রেফতারি, দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং ফাঁসি কার্যকর হতে সব মিলিয়ে সময় লেগে গিয়েছিল সাত বছর।


কিন্তু এ ব্যাপারে নজির গড়ল বিহারের একটি আদালত (Bihar Court Verdict)। ছ’বছরের দলিত কন্যার ধর্ষণ মামলায় চার্জশিট জমা পড়ার ১৫ দিনের মধ্যে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শুনিয়ে দিলেন ওই আদালতের বিচারক। ১৫ দিনে মাত্র তিন বার শুনানি হওয়ার পরই সাজা শোনান বিচারক, যা নজর কেড়েছে সমাজকর্মীদের।


এই মামলায় ৪৮ বছরের মহম্মদ মাজহার নামের এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে। দোষী ব্যক্তি বিহারের আরারিয়া জেলার ভার্গমা থানার অন্তর্গত বীরনগর পশ্চিমের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তিকে সাজা শোনান এডিজে-৬ তথা যৌন নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষার জন্য গঠিত পকসো আইনের বিশেষ বিচারক শশীকান্ত রাই। পকসো আইনেই অপরাধীকে সাজা শোনানো হয়েছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে সরকারি তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে জেলার আইন পরিষেবা বিভাগের সচিবকে।


আরও পড়ুন: Pegasus Row: পেগাসাস কিনতে সই করেছিলেন মোদি! রিপোর্ট ঘিরে ফের উত্তাল রাজনীতি, দেশদ্রোহের অভিযোগ রাহুলের


গত বছর ১ ডিসেম্বর শিশুটির উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর তদন্তকারী আধিকারিক রীতা কুমারী গত ১২ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ২০ জানুয়ারি থেকে শুনানি শুরু হয়। ২২ জানুয়ারি গঠন করা হয় চার্জ। ২৫ জানুয়ারি দোষী সাব্যস্ত করে ২৭ জানুয়ারি অপরাধীকে সাজা শোনায় আদালত।


ছোট্ট শিশুটির আিনজীবী এলপি নায়েক আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। আরারিয়ার পুলিশ সুপার অশোক কুমার সিংহ জানিয়েছেন, ২ ডিসেম্বর অভিযোগ দায়ের করা হয় মেয়েটির পরিবারের তরফে। তার পর পকসো আইন-সহ তফসিলি জাতি এবং উপজাতি আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। চার্জশিট জমা পড়ার ১৫ দিনের মধ্যে সাজা শুনিয়েছে আদালত। সব মিলিয়ে ঘটনার ৫৬ দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা হয়েছে।