নয়া দিল্লি : তামিলনাড়ুতে IAF Mi-17 হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছেন ভারতের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। মৃত্যু হয়েছে বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী-সহ আরও ১১ জনের। তিন দশকের মধ্যে এই ধরনের এক শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার মৃত্যু মনে করিয়ে দিচ্ছে সেনার আরও এক কর্মকর্তার মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনা।
এর আগে ১৯৯৩ সালে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় একইভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। সেবারও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। সেবারও ছিল খারাপ আবহাওয়া। কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী।
ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জামিল মাহমুদ ১৯৯৩ সালের মে মাসে সস্ত্রীক সিকিম সফরে যাওয়ার সময় একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর স্ত্রী, মিলিটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্নেল এম.এন. আহমেদ, লেফটেন্যান্ট লক্ষ্মণ ত্যাগী, নায়েক জি থ্যাগরাজন, তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হাবিলদার এস. বাসুদেবন এবং আইএএফ ক্রুও মৃত্যু হয়।
১৯৫৯ সালে আর্টিলারিতে যোগ দেওয়া মাহমুদ ১৯৬২ ভারত-চিন যুদ্ধের সময় সিকিমে একটি বাহিনীর নেতৃত্ব দেন এবং যুদ্ধ সেবা পদক লাভ করেছিলেন। তিনি ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধেরও অংশ ছিলেন। আইএমএ সহ একাধিক মূল কমান্ড (একটি ব্রিগেড, পদাতিক ডিভিশন এবং শ্রীনগর-সদর দফতর চিনার কর্পস), স্টাফ এবং নির্দেশনামূলক পদে ছিলেন। ১৯৯২ সালের অক্টোবরে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান হন।
এছাড়া তিন দশক আগে ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে পুঞ্চের কাছে একটি আইএএফ অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। যার জেরে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা প্রাণ হারান।
প্রসঙ্গত, আজ কোয়েম্বাত্তুরের(Coimbatore) সুলুরে সেনাঘাঁটি থেকে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স স্টাফ সার্ভিসেস কলেজের উদ্দেশে রওনা দেয় Mi-17V-5 হেলিকপ্টারটি। তার পরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার। মনে করা হচ্ছে, কুয়াশার কারণে অল্প দৃশ্যমানতা ছিল। তার জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও আইএএফ-এর তরফে ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।