Nirmala Sitharaman: স্বস্তি পেতে পারে দেশের আম আদমি। কমতে পারে পরিবারের খরচ। অন্তত ১ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজেট নিয়ে সেরকমই আশ্বাস দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী।
মৌলিক করে আরও ছাড়
মোদি সরকার গত ৭ বছরে সাধারণ মানুষকে কর ছাড়ে নতুন করে কোনও পরিত্রাণ দেয়নি। তাই চলতি বছরে আয়কর ছাড় নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। ২০২৪ সালে সাধারণ নির্বাচন ও মহামারীকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার কতটা সুযোগ রয়েছে আপাতত তা জানার অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। এই ট্যাক্স শেষবার ২০১৪-১৫ সালে সংশোধিত হয়েছিল। হতে পারে, এই মৌলিক কর অব্যাহতির সীমা বাড়িয়ে অর্থমন্ত্রী জনগণকে স্বস্তি দিতে পারেন।
আয়কর স্ল্যাব পরিবর্তন
দেশের সর্বোচ্চ ট্যাক্স স্ল্যাব হল 30 শতাংশ, যা 10 লাখ টাকার বেশি (পুরাতন কর ব্যবস্থা অনুযায়ী) ও 15 লাখ টাকার বেশি (নতুন কর ব্যবস্থা অনুযায়ী) উপার্জনকারীদের উপর ধার্য করা হয়। সারচার্জ ও সেস যোগ করলে এই কর হতে পারে ৪২.৭৭ শতাংশ, যাদের আয় ৫ কোটি টাকার বেশি এই আয়কর তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই করের হার অনেক বেশি। এর তুলনায় হংকংয়ে সর্বোচ্চ করের হার 17 শতাংশ, সিঙ্গাপুরে এই কর 22 শতাংশ, মালয়েশিয়ায় এই করের হার ৩০ শতাংশ। অনেকের মতে,এই সীমা 20 লক্ষ টাকার বেশি আয়কারীদের জন্য বাড়ানো উচিত। সেই ক্ষেত্রে 42 শতাংশের বেশি কর হলে তা কমিয়ে 35 শতাংশ করা উচিত।
নতুন কর ব্যবস্থা
2020-21 সালের সাধারণ বাজেটে সরকার একটি নতুন কর ব্যবস্থা প্রয়োগ করে,যেখানে বিভিন্ন কর ছাড়ের হিসেব থেকে মুক্তি পেতে জনগণের জন্য এককালীন কর ছাড়ের বিকল্প রাখা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে জনগণের মধ্যে কোনও সচেতনতা না থাকায় অনেকে পুরনো কর ব্যবস্থায় রয়ে গেছেন। এই অবস্থায় সরকারের সামনে দাবি উঠছে, নতুন কর ব্যবস্থাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা, যাতে জনগণের এই বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হয়।
আর্থিক সঞ্চয় নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ব্যবস্থা
দেশের 80C-এর সীমা বাড়ানোর দাবিও বহু বছর ধরে করা হচ্ছে। টিউশন ফি ও হাউজিং লোনের মূল পরিমাণে ছাড় থাকা সত্ত্বেও এই কর ছাড় মাত্র 1.5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছে। ধারা 80C এর অধীনে কেবল 1.5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পায় দেশবাসী, যা বাড়ানোর দাবি করা হচ্ছে বহুদিন ধরে। কারণ দেশে সঞ্চয়ের হার 2022-23 সালের প্রথমার্ধে 26.2 শতাংশে নেমে এসেছে, যা হল 19 বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তাই স্পষ্টতই সরকারের কাছে এই ছাড়ের সীমা বাড়ানোর সব সুযোগ রয়েছে, দেখতে হবে অর্থমন্ত্রী এবার সেই দাবি মেনে নেন কি না।
গৃহঋণের সুদে রেয়াত বৃদ্ধি
বন্ধকের হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রিয়েল এস্টেট শিল্প সরকারকে বর্তমান 1.5 লাখ টাকা থেকে গৃহঋণের সুদের ছাড় বাড়ানোর দাবি করছে। গত 7 মাসে, RBI-এর হার বৃদ্ধির ফলে হোম লোনের সুদের হার প্রায় 2% বেড়েছে। এ কারণে মানুষের ইএমআই বেড়ে যাওয়ায় মানুষের ঘরের বাজেট এখন আকাশচুম্বী। এ ছাড়াও গৃহনির্মাণে ঋণের সুদের হার বছরের পর বছর বাড়েনি, যে কারণে সেদিকেও নজর দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি উঠেছে।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো
আগে সরকার এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের অধীনে 40,000 টাকা দিত। পরে অবশ্য তা বাড়িয়ে 50,000 টাকা করা হয়েছে। তবে প্রতিনিয়ত বাড়ছে যানবাহনের জ্বালানির খরচ। ওষুধের দাম বৃদ্ধির কারণে জনগণের ব্যয় আরও বেড়েছে। এ কারণে অর্থমন্ত্রী এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের কথা মাথায় রেখে জনগণকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারেন।