হায়দরাবাদ : এক সময়ের দেশীয় রাজ্য বা 'প্রিন্সলি স্টেট' (Princely State)। হায়দরাবাদের (Hyderabad) 'মুক্তি বা স্বাধীনতার' ৭৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে বছরভর অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে হায়দরাবাদের সংযুক্তিরকরণকে কার্যত নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হবে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর এর উদ্বোধন হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র উপস্থিতিতে। ওই দিনের প্রধান অতিথি তিনি। এমনই জানিয়েছেন তেলঙ্গানার সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।


কী বলছেন তেলঙ্গানার সংস্কৃতিমন্ত্রী ?


এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে তেলঙ্গানা, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চিঠিতে রেড্ডি লিখেছেন, "আমি এটা জানাতে পেরে ভীষণ খুশি বোধ করছি যে, বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ভারত সরকার হায়দরাবাদ স্টেট লিবারেশনের ৭৫ বছর উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য বছরভর অনুষ্ঠানের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যা এবছর ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে পরের বছর একই দিন পর্যন্ত চলবে।"  তিনি এর গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেছেন, হায়দরাবাদের ইতিহাসের আলোকপাত করা গুরুত্বপূর্ণ। এর উদ্দেশ্য বর্তমান প্রজন্মকে “প্রতিরোধ, বীরত্ব ও আত্মত্যাগ সম্পর্কে সচেতন করা।"


আরও পড়ুন ; নিশানায় মুনাবর ফারুকি, পয়গম্বর মহম্মদকে অবমাননার অভিযোগ, গ্রেফতার বিজেপি বিধায়ক


এর পাশাপাশি তিনি ওই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের সংশ্লিষ্ট রাজ্যে উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমি আপনাদের সারা বছর ধরে অনুষ্ঠান এবং স্মৃতিবহুল বিষয়গুলি চিহ্নিত করতে এবং ভারত সরকারের সাথে এই পরিকল্পনা ভাগ করে নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। যাতে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়। উল্লেখ্য, নিজমের অধীনে ছিল হায়দরাবাদ । 'অপারেশন পোলো'-র মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন ভারতের সাথে এটিকে যুক্ত করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, 'অপারেশন পোলো' একটি সামরিক অভিযান যা ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮-এ শেষ হয়েছিল। 


পূর্ববর্তী প্রিন্সলি স্টেট হায়দ্রাবাদ - যা মহারাষ্ট্রের আধুনিক মারাঠওয়াড়া অঞ্চল, কর্ণাটকের হায়দ্রাবাদ-কর্নাটক অঞ্চল এবং বর্তমান তেলেঙ্গানার সমস্ত জেলাকে নিয়ে ছিল। ১৯৪৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এটি ভারতের অংশ হয়ে ওঠে।


এই ঐতিহাসিক ক্ষণকে কীভাবে দেখা উচিত তা নিয়ে তেলেঙ্গানার রাজনৈতিক দলগুলি বিভক্ত। ফলস্বরূপ, ১৭ সেপ্টেম্বরের তাৎপর্য বর্ণনা করার জন্য কোনও গ্রহণযোগ্য নামকরণ নেই। কেউ কেউ এটিকে 'মুক্তি দিবস' বলে অভিহিত করেন, আবার অন্যরা একে 'একত্রীকরণের দিন' হিসেবে দেখতে চান।