নয়া দিল্লি : কোভিডকালে দেশের চিন্তা বাড়াচ্ছে ৮ রাজ্য। নতুন করে সংক্রমণের গ্রাফ বাড়ছে এই রাজ্যগুলিতে। কোভিড টাস্ক ফোর্সের তথ্য বলছে, এখনও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যায়নি দেশ থেকে।


দেশের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোভিড টাস্ক ফোর্স। এ প্রসঙ্গে ফোর্সের প্রধান ভিকে পল জানান, দেশের ৪৪টি জেলায় কোভিড পজিটিভিটি রেট বেড়েই চলেছে। গত চার সপ্তাহ ধরে ১৮টি জেলায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিসংখ্যান বলছে, দেশ থেকে এখনও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যায়নি। তবে সবথেকে চিন্তার বিষয় 'R-ফ্যাক্টর'(রিপ্রোডাক্টিভ রেট অফ ভাইরাস)। দেশের ৮টি রাজ্যে স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গিয়েছে এই 'R-ফ্যাক্টর'। 


কী এই 'R-ফ্যাক্টর' ?


'রিপ্রোডাক্টিভ রেট অফ ভাইরাস' বা 'R-ফ্যাক্টর' আসলে সংক্রমণের গতির সূচক। ভাইরাস কত দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে 'R-ফ্যাক্টর'-এর মাধ্যমে তা বোঝা যায়। ভিকে পল-এর মতে, ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে 'আর নম্বর' সব সময় ০.৬-এর মধ্যে থাকতে হয়। কোনও কারণে এই 'R-ফ্যাক্টর' ১-এর বেশি হলে সমস্যা দেখা দেয়। বিশ্বে এই 'R-ফ্যাক্টর'-এর মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের গতিবিধি বোঝা যায়। একজন সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে আরও কতজন সংক্রমিত হতে চলেছেন তার নির্ণায়ক 'R-ফ্যাক্টর'।


'R-ফ্যাক্টর' ২.০ হলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তির মাধ্যমে গড়ে আরও দু'জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ওই দু'জন আরও দু'জনের শরীরে এই ভাইরাস ছড়াবে। সব মিলিয়ে চারজন এই ভাইরাস থেকে সংক্রমিত হবেন। সেই কারণে মহামারীর সময় সব দেশেরই 'R-ফ্যাক্টর'-এর লক্ষ্যমাত্রা ১.০-র নীচে থাকে। 


কোন রাজ্যে কী অবস্থা 'R-ফ্যাক্টর'-এর ?


বর্তমানে হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, লাক্ষাদ্বীপ, তামিলনাড়ুু, মিজোরাম, কর্ণাটক, পদুচেরি, কেরলে 'R-ফ্যাক্টর' ১ সংখ্যা ছাড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য চিন্তা বাডা়চ্ছে সরকারের। যদিও অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে কমছে এই 'R-ফ্যাক্টর'। তবে পশ্চিমবঙ্গ , হরিয়ানা, নাগাল্যান্ড, গোয়া, দিল্লি, ঝাড়খণ্ডে কোভিড সংক্রমণের এই সূচক ১-এ দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের সংক্রমণের দিকে তাকালে দেখা যাবে-আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের 'আর নম্বর' গড়ে ১.২। অর্থাৎ কোনও একজন সংক্রমিত ব্যক্তি একজনের থেকে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করছেন।