স্কুলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নতুন একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে,
- স্কুলে নিরাপদ পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে
- প্রয়োজনে শিশুদের সময়মত চিকিৎসা সহায়তা দিতে হবে
- কোনও বিষয়ে শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট করা অভিযোগের উপর দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে
- স্কুলে ছাত্র হেনস্তা প্রতিরোধ করতে হবে
- শারীরিক শাস্তি বন্ধ করতে হবে
- পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না
- কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে কঠোর ভাবে
আরও পড়ুন :
ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিলেই মণ্ডপে ঢুকে অঞ্জলি, সিঁদুর খেলায় অংশগ্রহণ, নির্দেশিকা হাইকোর্টের
শিশুদের নিরাপত্তার জন্য স্কুলগুলিকে এই নিয়মগুলি মেনে চলতেই হবে। এর অন্যথা হলে স্কুলগুলির কাছে জবাব চাওয়া হতে পারে। তা না মানলে জরিমানা হতে পারে, এমনকী স্কুলের স্বীকৃতিও কেড়ে নিতে পারে কেন্দ্র !
কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাক্ষরতা মন্ত্রক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ১ অক্টোবর এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। বলা হয়েছে যে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা অধ্যক্ষ বা বিদ্যালয়ের প্রধান, যাঁদের উপর স্কুলে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রয়েছে, তাঁদেরও আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। স্কুল তার দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে অভিভাবকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। বলা হয়েছে, "যখন একটি শিশু স্কুলে থাকে, তখন স্কুলের উপই বাচ্চাটির দায়িত্ব অর্পিত থাকে। স্কুলেরই নিয়ন্ত্রণ থাকে একটি শিশুর উপর। যদি স্কুল ইচ্ছাকৃতভাবে শিশুটিকে অবহেলা করে বা এমন কিছু ঘটায় যাতে শিশুটির মানসিক বা শারীরিক কষ্ট হয়, তাহলে তা কেন্দ্রের নির্দেশ লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে । যা Juvenile Justice Act, 2015 ও লঙ্ঘন হিসেবে গ্রাহ্য হবে। '
নির্দেশিকায় ১১ টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলি নিয়মভঙ্গ বলে বলে ধরা হতে পারে। ক্ষেত্রগুলি হল -
- স্কুলে নিরাপদ পরিকাঠামো না থাকা
- নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবহেলা
- ক্যাম্পাসে যে খাদ্য ও জল পাওয়া যায় , তার মান খারাপ হওয়া
- শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে বিলম্ব
- একজন শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে অবহেলা
- শারীরিক মানসিক হয়রানি
- পড়ুয়া হেনস্থা প্রতিরোধে অবহেলা
- বৈষম্যমূলক ব্যবহার
- শারীরিক শাস্তি দেওয়া
আরও পড়ুন :
পুজোর পর স্কুল খোলার প্রস্তুতি, রাজ্যে স্কুল ভবন সারাইয়ের জন্য ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ