প্রকাশ সিনহা ও বিজেন্দ্র সিংহ , নয়াদিল্লি :  সপ্তমীর দিন হাজির হতে হবে।  কয়লাকাণ্ডের তদন্তে, দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে, দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। সূত্রের খবর, আবেদনে তিনি দাবি করেছেন কোনও মহিলাকে অন্য রাজ্যে তলব করার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মানেনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাই পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের দেওয়া সশরীরে হাজিরার নির্দেশ খারিজ করা হোক।


অভিষেক পত্নী রুজিরা আরও দাবি করেছেন, ই-মেলের মাধ্যমে ইডিকে তিনি সহযোগিতা করেছেন। মামলার শুনানি চলাকালীন ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকেছেন। বাড়িতে তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। করোনাকালে, তাঁদের রেখে দিল্লি যাওয়া একপ্রকার অসম্ভব।


আরও পড়ুন :


কয়লাকাণ্ডে আইপিএস অফিসার জ্ঞানবন্ত সিংহকে তলব ইডি-র


 গত ২১ সেপ্টেম্বর ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়, রুজিরা যেদিন দিল্লি আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন, সেদিন তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। গিয়েছিলেন বিউটি পার্লারে। এর প্রেক্ষিতে, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরার আইনজীবী বলেন, ট্যাক্সের টাকায়, মহিলার ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হচ্ছে।  তিনি এও দাবি করেন, কয়লাকাণ্ডে রুজিরার নামে সমন পাঠালেও, এখনও অভিযোগের কোনও কপি পাননি তাঁরা। তখন ইডির আইনজীবী বলেন, আমরা ভিডিও কনফারেন্সের হাজিরা মানব না। রুজিরাকে সশরীরে আসতেই হবে। দিল্লিতে আসতে পারছেন ব্যক্তিগত কাজে, অথচ এখানে আসতে পারছেন না কেন? বিনয় মিশ্রকে যখন ছাড় দেওয়া হয়নি, তাহলে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন ছাড় দেওয়া হবে? 


আরও পড়ুন : 


পুজো মিটলেই রাজ্যে আরও উপনির্বাচন, মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৩ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী


এরপর ইডির তরফে বলা হয়, প্রয়োজনে, জামিনযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হোক। কিন্তু, আমরা কোথায় গিয়ে তদন্ত করব, তা উনি ঠিক করে দেবেন না। দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে আসতে হবে তাঁকে। এরপরই বিচারক নির্দেশ দেন, ১২ অক্টোবর, অর্থাত্‍ মহাসপ্তমীর দিন দুপুর ২টোয় পাতিয়ালা কোর্টে হাজির হতেই হবে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাতিয়ালা হাউজকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই, বুধবার, দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করলেন অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হবে। 


কয়লাকাণ্ডে, সম্প্রতি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি! তারপর তাঁকে ফের দিল্লিতে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।