কলকাতা : অগাস্টে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, পুজোর পর এক দিন অন্তর স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। এবার সেই দিকেই আরও একধাপ এগোল রাজ্য। পুজোর পর রাজ্যে স্কুল খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের নির্দেশ, কালীপুজোর মধ্যে ক্লাস উপযোগী করে তুলতে হবে স্কুলগুলিকে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা স্কুল ভবনগুলি সারাইয়ে জন্য ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। ৬ হাজার ৪৬৮টি স্কুল মেরামতির সিদ্ধান্ত সরকারের। 


সেপ্টেম্বরেই ত্রিপুরায় খুলে গেছে স্কুল। ক্লাস হচ্ছে নিয়মিত। ভিড় এড়াতে, প্রত্যেকটা ক্লাসকে দু’ভাগে ভাগ করে চলছে পড়াশোনা। এই প্রেক্ষাপটে, এরাজ্যেও স্কুল খোলার দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষাবিদরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার জানিয়েছেন, পুজোর পর স্কুল খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোনও স্কুলে একেকটি ক্লাসকে সোম-বুধ-শুক্র এবং মঙ্গল-বৃহস্পতি-শনিতে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও স্কুল আবার ক্লাসগুলিকে একই দিনে দু’ভাগে ভেঙে পড়াশোনা চালাচ্ছে। ক্লাস টেন ও টেন প্লাস টু-র সিলেবাস ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সিলেবাসকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগের জন্য পরীক্ষা হবে ডিসেম্বরে। দ্বিতীয় ভাগের জন্য পরীক্ষা হবে আগামী বছর মার্চে। তার আগে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে এলে ডিসেম্বরের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হবে। 

দেশের অন্যান্য অনেক রাজ্যেও স্কুল খুলেছে। করোনা অতিমারীর ফলে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে খুলেছে মহারাষ্ট্রের স্কুল। গতমাসেই এই মর্মে ঘোষণা করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার।  এখনও অবধি স্কুলগুলি কেবল সেই অঞ্চলে অফলাইন বা স্কুল পরিচালনা করছিল যেখানে করোনা সংক্রমণের হার অন্যান্য এলাকা থেকে তুলনামূলকভাবে কম ছিল। মহারাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী বর্ষা গায়কোয়াড় বলেন, গ্রামাঞ্চলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খুলছে। অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খুলল। অর্থাৎ, শহরাঞ্চলে প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণি এবং গ্রামাঞ্চলে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এখনও খুলছে না স্কুলের দরজা। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কোভিড -১৯ টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে পরামর্শ করার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন গায়কোয়াড়।