করোনায় মৃদু, মাঝারি ও গুরুতর উপসর্গযুক্তদের চিকিৎসার জন্য নতুন নির্দেশিকা আনল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। AIIMS, ICMR - Covid-19 National Task Force ও মন্ত্রকের অধীনে থাকা  Joint Monitoring Group (DGHS) নতুন এই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। 


মৃদু উপসর্গ যুক্তদের জন্য নির্দেশিকা ( Guidelines for the management of adult Covid-19 patients having MILD symptoms) : 
কারা মৃদু উপসর্গযুক্ত ? 



  • যাঁদের  upper respiratory tract এ কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

  • শ্বাস কষ্ট ছাড়া জ্বর

    কী করতে হবে (MUST DOs)

  • গৃহে নিভৃতবাস (Home isolation)

  • শারীরিক দূরত্ব (physical distancing)

  • বাড়িতেও মাস্কের ব্যবহার (indoor mask use)

  • বারবার জ্বর মাপা ও অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপতে হবে ( monitoring temperature, oxygen saturation)


কখন বাড়তি চিকিৎসার কথা ভাবতে হবে - 



  • অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের কম হলে

  • বেশি জ্বর (High-grade fever)

  • বেশি সর্দি-কাশি (severe cough) 

  • ৫ দিনেরও বেশি এইসব উপসর্গ থাকলে 

    যা করতে পারেন - 




  • ইনহেলার ব্যবহার করতে পারেন ( Inhalational Budesonide , ডোজ ৮00 mcg BD ৫ দিনের জন্য ) 



    মাঝারি উপসর্গযু্ক্তদের জন্য নির্দেশিকা (Guidelines for the management of adult Covid-19 patients having MODERATE symptoms:


    শাশ্বপ্রশ্বাসের মাত্রা (Respiratory rate) যদি মিনিটে ২৪ এর কম বা সমান হয় ও অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-৯৩ শতাংশ হয়, তাহলে মাঝারি উপসর্গ যুক্ত রোগী বলা হবে। 


    যা করতে পারেন - 




  • প্রোনিং করতে পারেন , অর্থাৎ জেগে উপুর হয়ে শোয়া




  • চিকিৎসক বললে নেওয়া যেতে পারে Methylprednisolone 0.5 to 1 mg/kg ডোজটি দুই ভাগে , অথবা  dexamethasone এর সমান ডোজ ৫-১০ দিনের জন্য




  • কোনও অক্সিজেন সাপ্লিমেন্টের দরকার নেই। 



  • স্টেরয়েড প্রথম দিকে বা বেশি মাত্রায় ব্যবহারের কুপ্রভাব দেখা গিয়েছে। তাই স্টেরয়েড খুব প্রয়োজন না থাকলে, ব্যবহারের দরকার নেই। এছাড়া আর কোনও ওষুধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।

    গুরুতর উপসর্গযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা ( Guidelines for the management of adult Covid-19 patients) 


    যে করোনা রোগীদের রেসপিরেটরি রেট (respiratory rate) মিনিটে ৩০ এর কম বা সমান, তাদের গুরুতর উপসর্গযুক্ত হিসেবে দেখা হবে। ঘরের মধ্যেই যদি রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের কম হয়, তখন ভাবতে হবে গুরুতর উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তবে এবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শুরু থেকেই চিকিৎসকরা বলে আসছেন অযথা রেমডেসিভির বা টসিলিজুমাবের মতো ওষুধ না দিতে। এখনও এই সব ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। Anti-inflammatory or immunomodulatory therapy, Remdesivir, Tocilizumab - কখন দিতে হবে তা চিকিরসকরাই ঠিক করবেন। কোনও ভাবেই রোগী নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ খেতে পারবেন না।