Covid Cases in India: ভারতে গত ডিসেম্বরের পর থেকে টানা করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রত্যেক দিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। বিগত চারদিন ধরে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা থেকেছে প্রায় আড়াই লক্ষের বেশি। এর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি তৃতীয় ঢেউ করোনা আক্রান্তর সংখ্যা শিখরে পৌঁছেছে?এবার কি আক্রান্তের সংখ্যা রেখচিত্র নিম্নমুখী হবে? গত ১৪ জানুয়ারি দেশে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ২,৬৪,২০২। পজিটিভিটি রেট ১৪.৭৮ শতাংশ। ১৫ জানুয়ারি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৬৮,৮৩৩ এবং পজিটিভিটি রেট ১৬.৬৬ শতাংশ। ১৬ জানুয়ারি দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ২,৭১,২০২ এবং পজিটিভিটি রেট ছিল ১৬.২৮ শতাংশ। ১৭ জানুয়ারি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৫৮,০৮৯ এবং পজিটিভিটি রেট ১৯.৬৫ শতাংশ। 


গত চারদিন গড়ে প্রতিদিন আড়াই লক্ষের বেশি ছিল করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। যদিও পজিটিভিটি রেট বেড়েছে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা সেই অনুসারে বাড়েনি। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, ভারতে চলতি ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা শিখরে পৌঁছে গিয়েছে? এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ এখনও শিখরে পৌঁছয়নি।  চলতি ঢেউয়ে সংক্রমণ বিভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শিখরে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। যেমনটা এর আগের দুটি ঢেউয়ে হয়েছিল।


এইমসের কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক পুনীত মিশ্র বলেছেন, কয়েকটি রাজ্যে আক্রান্তর সংখ্যা কমেছে। মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, করোনার ঢেউ এল, আর শেষ হওয়া শুরু হয়ে গেল। ভারতে তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ পিক অর্থাৎ শিখর বা সর্বোচ্চ পর্যায় বিভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দেখা যেতে পারে। এমনই মত প্রকাশ করেছেন এমসের কমিউনিটি মেডিসিনের অতিরিক্ত অধ্যাপত চিকিৎসক হর্ষল সালভে। তিনি বলেছেন, মেট্রো শহরগুলির কথা বললে, দিল্লি-মুম্বই এখন সংক্রমণের শিখরে রয়েছে। আগামী দু-এক সপ্তাহে এই শহরগুলি আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করবে। বাকি রাজ্যগুলি বা উত্তর-পূর্ব বা গ্রামীন এলাকায় কিছুটা সময় পর সংক্রমণ শিখর ছুঁতে পারে। 
ইন্ডিয়ান পাবলিক হেল্থ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা এইমসের কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য অনুসারে, যা কিছুই করা হোক না কেন, সংক্রমণ রোখার কাজ খুবই কঠিন। বিশ্বের অনেক দেশই সংক্রমণ রুখতে পারেনি। লকডাউনই হোক বা নৈশ কার্ফু-কোনও পদক্ষেপেই সংক্রমণের গতি ধীর হতে পারে, কিন্তু রোখা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেছেন, সংক্রমণের পিক পুরো দেশে একসঙ্গে পৌঁছে যেতে পারে না। প্রত্যেক দেশেই ইনফেকশন রেট ভিন্ন ভিন্ন। কারণ, পুরানো ইমিউনিটির ওপর তা নির্ভর করে।