জম্মু: জম্মু: পুণ্যভূমিতে ফের বিপর্যয়!


মেঘভাঙা বৃষ্টি অমরনাথে...


মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বানে বিধ্বস্ত অমরনাথের (amarnath)গুহা-সংলগ্ন (holy cave)এলাকা। এখনও পর্যন্ত তিন মহিলা-সহ ৫ জনের দেহ (dead) উদ্ধার হয়েছে। মোট ১০ জনের মৃত্যু। বেশ কিছু লঙ্গর ও তাঁবু ভেসে গিয়েছে বলে খবর। উদ্ধারকাজ (rescue operation) শুরু করেছে জাতীয় (NDRF) ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF)। 
সূত্রের খবর, বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাতই মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বানের ভেসে যায় অমরনাথ গুহা লাগোয়া বেশ কিছু লঙ্গর ও তাঁবু। প্রশাসনের ধারণা, এখনও সেখানে ৩০ থেকে ৪০ জন আটকে রয়েছেন। অনেকে নিখোঁজ। উদ্ধারকাজে এর মধ্যেই হেলিকপ্টার নামানো হয়েছে। জখমদের তার সাহায্যেই আকাশপথে উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে আশঙ্কা।


পরিস্থিতি ঘোরাল হওয়ার আশঙ্কা


করোনার কারণে দুবছর বন্ধ থাকার পর এবারই চালু হয়েছে অমরনাথ-দর্শন। এর মধ্যে লক্ষাধিক পুণ্য়ার্থী সেখানে পুজো দিয়েছেন বলে খবর। এর মধ্যে শুক্রবারই আবার দশম ব্য়াচের তীর্থযাত্রীরা জম্মুর জোড়া বেস ক্য়াম্প থেকে যাত্রা করেন। তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার ১০০। এসবের মধ্য়েই আজকের বিপর্যয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এদিন গুহার চারপাশ থেকে হঠাতই প্রবল জলোচ্ছ্বাস ধেয়ে এসেছিল। তার ধাক্কায় একাধিক 'কমিউনিটি কিচেন'-ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আশার কথা একটাই। আপাতত বৃষ্টি দমক কিছুটা হলেও ধরেছে। পুলিশের দাবি, পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে। যদিও অমরনাথের ঘটনা উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের স্মৃতি এর মধ্যেই উসকে দিয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তুষারধস নামে উত্তরাখণ্ডে। প্লাবিত হয় অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদী। তাতে ধৌলিগঙ্গার দুটি নির্মীয়মাণ বাঁধে ফাটল ধরে, বান ডাকে জোশীমঠে। নির্মীয়মাণ ঋষিগঙ্গা ও তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তুমুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু মানুষের প্রাণহানির খবর মেলে।




 



 


  


আরও পড়ুন:ক্রুজার না হলেও নিও-রেট্রো স্ক্র্যাম্বলার ! এই প্রিমিয়াম বাইক আনল টিভিএস