নয়াদিল্লি : ফের উত্তরাখণ্ডে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি । দেবপ্রয়াগে মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা ভয়ঙ্কর মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি নামে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কারও মৃত্যু ঘটেনি। টুইটারে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে দেবপ্রয়াগে প্রকৃতির সেই ভয়ঙ্কর লীলার ভিডিও। তাতে দেখা গিয়েছে, ভয়ঙ্কর বৃষ্টি এবং জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে গ্রাম- দোকান, বাড়ি ঘর।
দেবপ্রয়াগের স্টেশন হাউস অফিসার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে । তেহরির বেশ কয়েকটি দোকান এবং বেশ কিছু বাড়ি জলের তোড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। লকডাউনের জেরে যেহেতু বেশিরভাগ দোকান বন্ধ তাই মৃত্যুর খবর নেই । জলের স্তর ক্রমশই বাড়ছে । সেই সঙ্গে চলছে উদ্ধার কার্য ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত (Tirath Singh Rawat) এর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতিতে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। কেন্দ্রের তরফে রাজ্য সরকারকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
কিছুক্ষণের বৃষ্টিই ছিল ধ্বংসলীলার মতো। আইটিআই-এর একটি ভবনও ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টির দাপটেই ভেসে যায় এলাকা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দফতরের কর্মীরা। উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
ফেব্রুয়ারি মাসেই উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার জোশীমঠে মহাপ্রলয় ঘটে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হিমবাহে ভাঙনের ফলে তৈরি হওয়া তুষারধসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা এলাকা। একের পর এক বাঁধ ভাঙে। প্রাণ হারান বহু জন। জোশীমঠের কাছে বানের জলের তোড়ে একাধিক সেতু ভেঙে যায়।
কিন্তু, উত্তরাখণ্ডের ওপর বারবার এই বিপর্যয় নেমে আসছে কেন? সেটাই ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।এর আগে এই বিষয়ে আইআইটি খড়গপুরের ভূতত্ত্ববিদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘হিমালয় এলাকায় কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, পরিবেশকে অগ্রাহ্য করে, বিজ্ঞানকে অগ্রাহ্য করে নির্মাণকাজ হচ্ছে, বসতি হচ্ছে। যাকে আমরা ভৌগলিক পরিভাষায় বলি নিও টেকটনিক সিস্টেম। পরিবেশের সঙ্গে হিমালয়ের সামঞ্জস্য মানা হচ্ছে না। এই ধরনের ঘটনার জন্য আমরাই দায়ী।’