বিজাপুর : মুক্তি পেলেন মাওবাদীদের হাতে অপহৃত কোবরা জওয়ান রাকেশ্বর সিংহ মানহাস। ৩ এপ্রিল বিজাপুরে দওয়ানদের ওপর আক্রমণ চালানোর দিনে কোবরা জওয়ানকে অপহরণ করেছিল মাওবাদীরা।


ছত্তীসগঢ়ের সুকমা-বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই হয় গত শনিবার। ২২ জন জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়ে। মাওবাদীদের খোঁজে যৌথ অভিযান চালায় সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী, ডিআরজি এবং এসটিএফ৷ তখনই তাঁদের ওপর হামলা চালায় মাওবাদীরা৷ পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও৷ গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন ২২ জন জওয়ান৷ 


ঘটনার ৪ দিন পর মাওবাদীদের পক্ষ থেকে নিহতদের সংখ্যা জানানো হয়েছিল। তারা জানিয়, ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলাও। তাদের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করেছেন মুখাপাত্র বিকল্প। ওই বিবৃতিতে মৃতদের নাম এবং ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের নাম নুপো সুরেশ, কাওয়াসি বাদরু, পদম লখমা, মানদভি সুক্ক। মৃত মহিলার নাম ওডি সানি। সঙ্গে তারা জানিয়েছিল তাদের অপহরণ করা জওয়ান সুস্থ আছেন। কিন্তু তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আগে মধ্যস্থতাকারীদের নাম জানাক ছত্তিশগঢ় সরকার।


বীজাপুরের এসপি কমলাচোন কাশ্যপ বলেছিলেন, সুকমা-বিজাপুরে সীমানায় মাওবাদীদের হামলায় ২২ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, ছত্তীসগঢ়ের  মাওবাদী  বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যা গভীর উদ্বেগের বিষয়। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। দেশ তাঁদের ত্যাগ কখনই ভুলবে না। শোকপ্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।


এর আগে, গত ২৩ মার্চ, ছত্তিসগড়ের নারায়ণপুর জেলায় আইইডি দিয়ে বাহিনী-ভর্তি বাসে বিস্ফোরণ ঘটালে পাঁচ ডিআরজি জওয়ানের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় সুকমায় নাশকতামূলক হামলা চালানোর ছক কষার অভিযোগে তিন মাওবাদীকে গ্রেফতার করে আইটিবিপি। গতমাসে, বিজাপুরে জেলা পঞ্চায়েত সদস্যকে হত্যা করে মাওবাদীরা। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে, কোন্দাগাঁওয়ের ধানোরা এলাকায় ১১টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদীরা।