নয়া দিল্লি : প্রায় সর্বত্র বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সভা-সমাবেশ বাতিল করল কংগ্রেস (Congress)। আজ একথা জানান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা। 


এর পাশাপাশি বিজেপিকে (BJP) একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ভোটের আগে বিমানবন্দরের উদ্বোধন করে কোনও রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বেকার যুবক, কৃষক, মহিলা এবং গরিবরা সমস্যায় আছেন। উন্নয়ন তাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। স্বাস্থ্যের (Health) দিকে, উত্তরপ্রদেশে একেবারে কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে। মহিলাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। যদি আমরা ক্ষমতায় আসি, রাজ্যে ডাক্তারের যে সব পদ ফাঁকা আছে, তা পূরণ করে দেব। প্রত্যেক পরিবারকে বিনামূল্যে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। প্রত্যেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মহিলাদের জন্য আলাদা চিকিৎসক থাকবেন।


আরও পড়ুন ; উত্তরপ্রদেশ-সহ ৫ রাজ্যে ৭ দফায় বিধানসভা নির্বাচন, দেখুন নির্ঘণ্ট


আজ সাংবাদিক বৈঠক করে গোয়া, পাঞ্জাব, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের ভোট দিনক্ষণ ঘোষণা করে কমিশন। কোভিড-আবহে ভোট করানো নিয়ে কমিশনের বলা হয়েছে, ভার্চুয়ালি প্রচার করুন। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও সমাবেশ বা রোড শো করা যাবে না।


উত্তরপ্রদেশই এবার সাত দফায় বিধানসভা ভোট (UP Assembly Election)। শুরু হচ্ছে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে।


দেশের অন্যতম বড় এই রাজ্যে বিধানসভায় মোট আসন ৪০৩টি। এর আগে ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) ৩১২টি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছিল। এই ফলাফলে বিশাল উজ্জীবিত হয় গেরুয়া শিবির। সেবার জোট বেঁধে ভোটে যায় সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টি ২৯৮টি আসনে এবং কংগ্রেস বাকি ১০৫টি আসনে প্রার্থী দেয়। তার মধ্যে এসপি কোনওক্রমে ৪৭টি আসন পায়। কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে মাত্র সাতটি আসন। বহুজন সমাজবাদী পার্টিও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। পায় ১৯টি আসন। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ। এরপর গত ৫ বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। ফের একবার জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যে ভোট হতে চলেছে।