নয়া দিল্লি : কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ তুলে এবার অগ্নিপথ বিতর্কেও মোদি সরকারকে (Modi Government) বিঁধলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। ৮ বছর ধরে বিজেপি সরকার ‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ’-কে অপমান করেছে বলে অভিযোগ জানান তিনি। ট্যুইটারে লেখেন, আমি আগেই বলেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রীকে কালো কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ঠিক একইভাবে বীর ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে ওঁকে যুবসম্প্রদায়ের কথা মেনে অগ্নিপথও প্রত্যাহার করতে হবে।


অগ্নিপথে উত্তাল দেশ-


অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বিহার ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, তেলঙ্গানা, দিল্লি-সহ দেশের ১৩টি রাজ্যে হিংসা ছড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে যাত্রী নামিয়ে বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুন লাগানো হয় পুলিশের গাড়িতেও। শিকরারা থানা এলাকার লালাবাজারে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। কুশীনগরের পডরোনা স্টেশনে রেল অবরোধ করে তারা। আটকে পড়ে গোমতীনগর-ছাপরা এক্সপ্রেস। দুর্ভোগে যাত্রীরা। বিক্ষোভ-অশান্তির জেরে উত্তরপ্রদেশের ৪ জেলায় ৬টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


আরও পড়ুন ; সেকেন্দ্রাবাদে বিক্ষোভকারীর মৃত্যুতে কেন্দ্রকে দুষলেন কেসিআর, আর্থিক ক্ষতিপূরণ-চাকরির ঘোষণা


এদিকে অগ্নিপথ-বিক্ষোভে গতকালই সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক আরও একজন। ঘটনায় গ্রেফতার এক। হায়দরাবাদ পুলিশের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয়। ধৃত ব্যক্তি মূল ষড়যন্ত্রী বলে পুলিশের দাবি। গতকালের ঘটনায় নিহতের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি ও পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।


এই পরিস্থিতিতে অগ্নিবীরদের জন্য নতুন ঘোষণা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে উদ্ধৃত করে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, ৪ বছরের মেয়াদ শেষে সেনাবাহিনীতে চাকরি না থাকলেও  অগ্নিবীর হিসেবে আজীবন পরিচয় দিতে পারবেন প্রশিক্ষিতরা। সমস্ত সরকারি চাকরিতে তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। চাকরি ছাড়া অন্য কোনও জীবিকা বেছে নিলে অগ্নিবীররা তুলনামূলক কম সুদে ঋণ পাবেন। অগ্নিবীরদের প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৬ মাসের হলেও, প্রশিক্ষণের মানের সঙ্গে সমঝোতা করা হবে না।