নয়া দিল্লি: মোদি সরকারের (Modi Govt) অগ্নিপথ (Agnipath)-সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে, রাস্তায় নেমেছেন, সেনায় (Army) চাকরির স্বপ্ন দেখা হাজার হাজার যুবক। যা দেখে অনেকে বলছেন, বেকারত্ব নিয়ে গত কয়েকবছরে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাতে অনুঘটকের কাজ করেছে অগ্নিপথ। বেকার যুবক-যুবতীদের জ্বালার প্রতিফলনই দেখা যাচ্ছে এই বিক্ষোভে। এদিকে, শনিবার চতুর্থ দিনের মতো দেশব্যাপী এই অগ্নিপথ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।                     


বিতর্কিত প্রতিরক্ষা নিয়োগ প্রকল্পে শুক্রবার অনেক রাজ্যে রেল স্টেশন এবং জাতীয় সড়কগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যত যেন পরিণত হয়েছে। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সেনাপ্রধানের আশ্বাস দিয়েছেন চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে। কিন্তু বরফ গলেনি। অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে অযোধ্যার এসএসপি শৈলেশ কুমার পান্ডে জনগণকে জনগণের সম্পত্তির কোনও ক্ষতি না করার জন্য আবেদন করেছিলেন। এরপর সে রাজ্যের জেলায় জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।                               


আরও পড়ুন, ১০০ য় মা, সযত্নে পা ধোওয়ালেন মোদি


তবে শুধু অযোধ্যা নয়, অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে উত্তেজিত ছাত্রদের বিক্ষোভের কারণে বিহারের কাটিহার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। 


বিহার সরকার আজ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত কাইমার, ভোজপুর, ঔরঙ্গাবাদ, রোহতাস, বক্সার, নওয়াদা, পশ্চিম চম্পারন, সমষ্টিপুর, লক্ষীসরাই, বেগুসরাই, বৈশালী এবং সারান জেলা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় অস্থায়ীভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোদি সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প ঘিরে ক্ষোভের এই বহিঃপ্রকাশ ঘটলেও, আসলে দেশের নানা রাজ্যের এই ছবিটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, দিনে দিনে বেকারত্ব কী ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে! বেকারত্ব নিয়ে ক্ষোভ আগে থেকেই ছিল, অনুঘটক হয়েছে ‘অগ্নিপথ’। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর, বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বেকারত্বের হার বেশি থাকলে, নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য আরও বৈষম্য এবং বিভাজন তৈরি হয়। এই সুযোগ কাজে লাগায় রাজনীতিবিদরা। তাঁরা বিভাজনের রাজনীতি করে।