নয়াদিল্লি: প্রায় আড়াই দশক। ফের কংগ্রেসের মাথায় এমন একজন কেউ বসলেন যিনি গাঁধী পরিবারের সদস্য নন। সনিয়া গাঁধীর হাত থেকে ব্যাটন নিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হয়েছিল। ১৯ অক্টোবর ফল বেরলে দেখা গেল বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন মল্লিকার্জুন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭ হাজার ৮৯৭। যেখানে শশী তারুরের পেয়েছেন ১০৭২টি ভোট।


 কর্নাটকে জন্ম বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের কেরিয়ার অর্ধশতক পেরিয়েছে। প্রথম থেকেই গাঁধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়গে।


ছাত্রাবস্থা থেকে রাজনীতিতে:
গুলবর্গার সরকারি কলেজে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। আইন নিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপর ওকালতিও করেছেন। তারপরে যতদিন গিয়েছে ক্রমশ জড়িয়ে পড়েছেন রাজনীতির আঙিনায়।|


সামলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব:
ষাটের দশকে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মন্ত্রিসভায় রেলমন্ত্রী এবং শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। কর্নাটকেও মন্ত্রি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন খাড়গে। বর্তমানে কর্নাটক থেকে রাজ্যসভার সদস্য বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাজ্যসভায় তিনি বিরোধী দলের নেতার দায়িত্বও পালন করেছেন।






সনিয়া গাঁধীর শুভেচ্ছা:
ফল ঘোষণার পরেই নয়াদিল্লিতে মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে গিয়ে তাঁরে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেসের বিদায়ী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। নয়া সভাপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সচিন পায়লট। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের গলায় খাড়গের ব্যাপারে ঢালাও প্রশংসা শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, নেহরুর দর্শনের অনুপ্রেরণায় সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম উদাহরণ মল্লিকার্জুন খাড়গে। পাশাপাশি, তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত সম্মানের থেকেও মতার্দশকে উঁচুতে তুলে ধরেন যাঁরা, খাড়গের এই জয়ে তাঁরাও জয়ী হলেন। প্রথমে সভাপতি নির্বাচনের দৌড়ে অশোক গহলৌতের নাম ছিল। পরে তিনি সরে যান। শেষ পর্যন্ত মুখোমুখি লড়াই হয় মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং শশী তারুরের। সেখানে শেষ হাসি হাসলেন বর্ষীয়ান এই নেতাই।    

আরও পড়ুন: টাকার দামে সর্বকালীন পতন, প্রতি ডলারে ৮৩.০২, আরও নিচে যাওয়ার আশঙ্কা