নয়াদিল্লি: 'আমিই পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী।' দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে স্পষ্ট জানালেন সনিয়া গাঁধী। সূত্রের খবর, ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হবে বলে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। 


কপিল সিব্বল-সহ কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা সাংগঠনিক রদবদল তথা সভাপতি পদে কাউকে স্থায়ীভাবে নির্বাচিত করার পক্ষে একাধিকবার সরব হন। কংগ্রেসের অন্দরে এই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী 'জি-২৩' নামে পরিচিত।


লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্ব রাহুল গাঁধী ত্যাগ করার পর থেকেই দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন সনিয়া। 


আরও পড়ুন: রাহুল গাঁধী সহ ৬ কংগ্রেস নেতা, দলের অ্যাকাউন্ট ব্লক করল ট্যুইটার, 'নিয়ম লঙ্ঘন করায় পদক্ষেপ', দাবি সংস্থার


এদিন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সনিয়া গাঁধী বলেন, আমাকে বলার সুযোগ দিলে বলব, আমিই পূর্ণ সময়ের কংগ্রেস সভানেত্রী। 


আজ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সনিয়া বলেন, আমি বরাবরই খোলামেলা আলোচনা পছন্দ করি। মিডিয়ার মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন নেই। তাই ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে যাই আলোচনা হোক, তা যেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হিসেবেই বাইরে যায়। 


কৃষকদের বিক্ষোভ, মহামারী চলাকালীন সহায়তা ও ত্রানের ব্যবস্থা এবং প্রান্তিক গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের মতো জাতীয় ইস্যুতে তার নেতৃত্ব এদিনের বৈঠকে তুলে ধরেন সনিয়া। 


তিনি বলেন, আপনি জানেন যে  রাহুল মনমোহনজির মতো আমিও এই ইস্যুগুলি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এই জাতীয় ইস্যু নিয়ে যৌথ বিবৃতি জারি করেছি। পাশাপাশি, সংসদেও নিজেদের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছি।


তিনি আরও উল্লেখ করেন যে তরুণ কংগ্রেস কর্মীরা দলের নীতি ও কর্মসূচি জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য "নেতৃত্বের ভূমিকা" নিয়েছেন। 


একইসঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেন যে সিনিয়ররা যখন পরিবর্তন চাইছেন, তখন রাহুল গাঁধী সহ তরুণ নেতারা রাস্তায় নেমেছেন।