নয়াদিল্লি: হোক জেল, তবু বিলাসব্যসনে কি খামতি রাখা যায়? অভিযোগ, থাকাখাওয়ার বিলাসবহুল অভ্যাসে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে জন্য তিহার জেলের (Tihar jail)অফিসার ও কর্মী মিলিয়ে অন্তত ৮২ জনকে ঘুষ (bribe) দিয়েছিলেন প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর (sukesh chandrasekhar) । তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, এই ঘুষবাবদ প্রতি মাসে অন্তত দেড় কোটি টাকা খরচ করতেন সুকেশ। সুপ্রিম কোর্টের (suprme court) নির্দেশে তিহার জেলের সেই ৮২ জন অফিসার-কর্মীর বিরুদ্ধে এবার তাই মামলা রুজু করল ইকনমিক অফেনসেস উইং (ইওডবলিউ) (eow)। 


কী অভিযোগ?
  
ইওডবলিউ-র এসিপি বীরেন্দ্র সেজওয়ান গত মাসে এই মর্মে একটি অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতেই দুর্নীতিদমন আইনের এফআইআর করা হয়েছে। এসিপি-র দাবি, অভিযোগের স্বপক্ষে  কিছু প্রমাণ পাওয়ায় এর মধ্যেই ৮ জন জেল আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা যে ওই সিন্ডিকেট সম্পর্কে জানতেন তা মেনে নিয়েছেন। সূত্রের খবর, এফআইআরে বলা হয়েছে, 'মোবাইল ফোন ও নিজের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা একটি ব্যারাক পেতে ফি মাসে দেড় কোটি টাকা দিতেন সুকেশ।' সঙ্গে সংযোজন, অভিযোগগুলি যে নির্ভুল তা অ্যাসিস্যান্ট সুপার ধরম সিং মিনার ফোন থেকে পাওয়া তথ্য়েই প্রমাণিত। 


কী বলছে প্রমাণ?
   
শোনা যাচ্ছে, জেলের অন্দরে সিসিটিভি ফুটেজও খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। জেলকর্মীদের ডিউটি রস্টার এবং ফোনের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। এসিপি-র দাবি, সুকেশ যে ব্যারাকে থাকেন তার ক্যামেরাগুলি পর্দা ও মিনারেল ওয়াটারের বোতলের বাক্স দিয়ে পুরোপুরি আড়াল করা। সেগুলি সরানোর জন্য কোনও ব্য়বস্থাই নেওয়া হয়নি। 
  লক্ষণীয় বিষয় হল, যে তিহার জেলের কর্মী ও অফিসারদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সেখান থেকে তাঁর অন্যত্র সরানোর জন্য নিজেই শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সুকেশ। যুক্তি, জেল আধিকারিকদের থেকে তাঁর প্রাণের ভয় রয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করতে রাজি হয়নি। উল্লেখ্য, প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশের সঙ্গে বলি-অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে বলে ধারণা ইডি-র। এনিয়ে আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জ্য়াকলিনকে।


আরও পড়ুন:বাড়ি ফেরার পথে পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার ও ছেলেকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে অবরোধ গ্রামবাসীদের