কলকাতা: ফের শুরু হচ্ছে পরিষেবা (Rail Service)। আগামীকাল থেকেই আবার পরিষেবা দেবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। ভাঙা কামরার কঙ্কালের পাশ দিয়ে ইতিমধ্যেই ছুটতে শুরু করেথে ট্রেন। রবিবার থেকেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা। ৫১ ঘণ্টা পর বাহানাগায় ফের গড়াল ট্রেনের চাকা। রবিবার ভোরে আপের লাইনে প্রথম হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসকে (Howrah-Puri Superfast Express) পাস করানো হয়। ট্রেনের গতি ছিল ১০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। আগামী ৭ জুন একই ট্র্যাকে ফেরার কথা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। IRCTC জানিয়েছে, সেন্ট্রাল চেন্নাই থেকে  সকাল ৭টায় যাত্রা শুরু করে পরেরদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে শালিমারে পৌঁছবে ১২৮৪২ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ভয়াবহ দুর্ঘটনার রেশ কাটিয়ে ফের পরিষেবা দিতে ফিরছে ট্রেনটি। ফলে বলার অপেক্ষা রাখে না এইদিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অন্যদিকে আপ ১২৮৪১ করমণ্ডল এক্সপ্রেসটি এই একই দিনে শালিমার থেকে দুপুর নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ৩টে ২০-তে যাত্রা শুরু করে চেন্নাই পৌঁছবে পরের দিন বিকেল ৪টে ৫০মিনিটে।


 ছন্দে ফিরছে বাহানাগা: উল্লেখ্য, ভয়াবহ দুর্ঘটনার রেশ কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাহানাগা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত লাইনে শুরু হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। গতকাল রাত ১০টা ৪০-এ ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। আপ লাইনে প্রথম ট্রেন চালানো হয় রাত ১২টা ৫-এ। পরীক্ষামূলকভাবে আপ ও ডাউন লাইনে মালগাড়ি চালানোর পর, সকাল থেকে শুরু হয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০-এ প্রথম ছাড়ে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Howrah Puri Vande Bharat Express)। এরপর হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস রওনা দেয়। শুধুমাত্র হাওড়া-ব্য়াঙ্গালোর যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেসের সময় পরিবর্তন করা হয়। বেলা ১০টা ৫০-এর পরিবর্তে হাওড়া থেকে দুপুর ৩টেয় ছাড়ে। 


মৃত্যু, শোক, আতঙ্ক, হাহাকার পেরিয়ে, ৫১ ঘণ্টা পর বাহানাগায় ফের গড়াল ট্রেনের চাকা। শুক্রবার সন্ধের দগদগে স্মৃতি এখনও টাটকা! এখনও কতজনের অশনাক্ত দেহ পড়ে আছে মর্গে! হিসেব বলছে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০০ যাত্রার। এখনও হাসপাতালে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কত যাত্রী! এসবের মধ্য়েই স্টেশনে শোনা যাবে ট্রেনের আওয়াজ। ভাঙা কামরার কঙ্কালের পাশ দিয়েই ছুটবে ট্রেন। 


রবিবার রাতেই বাহানাগার ওই লাইন দিয়ে পাস করে ডাউন ভুবনেশ্বর-নিউ দিল্লি সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস। সোমবার ভোরে আপের লাইনে প্রথম হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসকে পাস করানো হয়। ট্রেনের গতি ছিল ১০কিলোমিটার/ঘণ্টা। যাত্রীদের আতঙ্ক কাটাতে, রেললাইনের পাশে রাখা ভাঙা কামরাগুলিকে সবুজ কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ট্রেন চলাচল মোটের উপর স্বাভাবিক হলেও, এদিন বেশকিছু ট্রেন বাতিল করা হয়।