ভোপাল : দেশে ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা কোভিড-বিধি মেনে চলতে বলছেন। বলছেন মাস্ক পরতে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় কোভিড-বিধি লঙ্ঘনের ছবি ধরা পড়ছে। এবার খোদ মন্ত্রী শিকেয় তুললেন নিয়ম-বিধি।


কথা হচ্ছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সংস্কৃতি মন্ত্রী ঊষা ঠাকুরের (Usha Thakur)। সোমবার খাণ্ডওয়ায় তাঁকে মাস্ক ছাড়াই দেখা যায়। এপ্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "গত ৩০ বছর ধরে প্রতিদিন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় আমি অগ্নিহোত্রা করছি। যা আমার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই কারণে ভাইরাল আক্রমণ- আমার কিছু হয় না।" শুধু তাই নয়, একটি গামছা (সুতির তোয়ালে) দুই ভাঁজ করে নিলেই তাঁর মাস্ক হয়ে যায়।


আগেরবার তিনি যখন খাণ্ডওয়া গিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁকে অসুস্থ লাগছিল কেন ? এনিয়ে জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী জানান, সেই সময় তাঁর ঠান্ডা লেগেছিল। তবে, কোনও ভাইরাল সংক্রমণে ভুগছিলেন না। মঙ্গলবার তাঁর বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়।


আরও পড়ুন ; যজ্ঞ করুন, করোনার তৃতীয় ঢেউ ভারতকে স্পর্শ করতে পারবে না ; বলছেন মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী


করোনা পরিস্থিতিতে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় চারদিনের "যজ্ঞ চিকিৎসা" করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। 


ঊষা ঠাকুরের পরামর্শ ছিল, "পরিবেশের বিশুদ্ধকরণের জন্য চারদিনের যজ্ঞ করুন। এটাকে বলা হয় "যজ্ঞ চিকিৎসা"। আগে আমাদের পূর্বসূরিরা মহামারী দূরীকরণে যজ্ঞ করতেন। চলুন, আমরাও পরিবেশ বিশুদ্ধ করি। তাহলেই করোনার তৃতীয় ঢেউ ভারতকে স্পর্শ করতে পারবে না।"


তিনি আরও বলেছিলেন, "বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চারা প্রথমে এই ঢেউয়ের শিকার হবে। এজন্য মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমরা সফলভাবে মহামারী পর্ব পেরিয়ে যাব।" ইন্দোরে একটি কোভিড কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধনে গিয়ে কথাগুলি বলেছিলেন মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এর আগে করোনা দূরীকরণে ইন্দোর বিমানবন্দরের কাছে একটি মূর্তির সামনে পূজা-অর্চনা করেছিলেন তিনি। এছাড়া বিনা মাস্কেই একটি কোভিড কেয়ার সেন্টার পরিদর্শন করে বিতর্কে জড়ান তিনি।