নয়াদিল্লি: মারাত্মক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ভারতের ভূমিকাকে কুর্ণিশ শীর্ষ মার্কিন বিজ্ঞানীর। তিনি বলেছেন, প্রথমসারির আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সহযোগিতায় ভারত কোভিড-১৯ টিকা চালু করায় সারা বিশ্বকে মারাত্মক করোনাভাইরাস থেকে উদ্ধার করেছে।
ওষুধের ক্ষেত্রে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা ও গভীর জ্ঞানের কারণে করোনাকালে ভারত হয়ে উঠেছিল সারা বিশ্বের 'ফার্মেসি'। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুতকারী দেশ ভারত। করোনার টিকার সরবরাহের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে।
হাউস্টনের বেলোর কলেজ অফ মেডিসিন (বিসিএম)-এর ন্যাশনাল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডিন ডক্টর পিটার হোটেজ সাম্প্রতিক এক ওয়েবিনারে বলেছেব, দুটো মাত্র এমআরএনএ ভ্যাকসিন বিশ্বের দরিদ্র ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর কোনও কাজেই আসত না। কিন্তু অক্সফোর্ড ও বিসিএম সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন সারা বিশ্বকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে। এক্ষেত্রে ভারতের অবদানকে কোনওভাবেই খাটো করা যায় না।
কোভিড ১৯-টিকাকরণ ও স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত ওয়েবিনারে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃত চিকিৎসক-বিজ্ঞানী বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতের টিকা বিশ্বকে ভারতের উপহার।
ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনিকার কাছ থেকে লাইসেন্স পেয়ে কোভিশিল্ড প্রস্তত করেছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এই কোভিশিল্ড ছাড়াও হায়দরাবাদের কোম্পানি ভারত বায়োটেক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্স সায়েন্সেসের যৌথ উদ্যোগে দেশে তৈরি কোভ্যাক্সিনের আপৎকালীন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ওই ওয়েবমিনারের আয়োজন করেছিল ইন্দো আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স গ্রেটার হাউস্টন।
ডক্টর হোটেজ বলেছেন, টিকা শুধুমাত্র উপসর্গযুক্ত অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝঞ্ঝাট থেকে বাঁচায় না, সেই সঙ্গে তা উপসর্গহীন সংক্রমণও থামায়।
আন্ডার গ্র্যান্টস অ্যাসিস্ট্যান্স হিসেবে ভারত বেশ কিছু দেশকে ৫৬ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মলদ্বীপ, বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার ও সিসিলির মতো দেশগুলিকে টিকা সরবরাহ করেছে ভারত।