নয়াদিল্লি : উদ্বেগ বাড়িয়ে  দেশে  করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ফের ৩৭ হাজার ছাড়াল। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৯৩ জন। দৈনিক মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪৮। বাড়ল সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৯ জন।



কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত আগের ২৪ ঘণ্টায়  ২৫ হাজার ৪৬৭ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছিলেন।  একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৫৪।  বুধবার দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয়ই একলাফে অনেকটা বাড়ল। তবে এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট রিপোর্ট।  ওই রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, আগামী মাসেই ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ।  সংক্রমণ এতটাই দ্রুত ছড়াবে যে ওই সময় মাসে ৫ লক্ষ জন করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।   

শুধু তাই নয়, জুরিখের এক ইমিওনোলজিস্টের আশঙ্কা, আগামী বছর ডেল্টার থেকেও ভয়ঙ্কর রূপে নাকি দেখা দেবে করোনা ভাইরাসের আরও একটি ভ্যারিয়েন্ট - কোভিড ২২। 


২০২১ এর শেষে অনেকেই ভাইরাস মুক্তির স্বপ্ন দেখছিলেন। যেভাবে গতি পেয়েছে ভ্যাকসিনেশন। ইতিমধ্যেই ভারতে বেশ কয়েকটি কোভিড ভ্যাকসিন ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে। অনুমোদন পেয়েছে শিশুদের জন্য জাইকভ ডি ও।  এরই মধ্যে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের পূর্বাভাস ভয় ধরাচ্ছে। 


 ইমিউনোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সাই রেড্ডির মতে, জনসাধারণকে এই নতুন রূপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  কারণ এটি হতে চলেছে কোভিড ১৯ এর থেকেও "বড় ঝুঁকি"!! জুরিখের এই বিজ্ঞানীর দাবি, ভাইরাস সংমিশ্রণ ঘটিয়ে অচিরেই আরও শক্তিশালী হবে এবং ভাইরাসের একটি মারাত্মক স্ট্রেন তৈরি হবে। 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল হয়ে গিয়েছিল দেশ। সবে যখন সংক্রমণ কিছুটা কমছে, তখনই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা। কিন্তু, কোথায় সচেতনতা? রাস্তা-ঘাট, দোকান বাজার, অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। শিকেয় উঠেছে করোনা বিধি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে করোনার থার্ড ওয়েভ। কিন্তু, কোথায় সচেতনতা? কোভিড সতর্কবিধি এভাবে উপেক্ষা করলে, তৃতীয় ঢেউ যে অবশ্যম্ভাবী, এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না।