নয়াদিল্লি: দেশে সামান্য কমল করোনা সংক্রমণ। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ফের নামল পাঁচশোর নীচে। পাশাপাশি, উদ্বেগ বাড়িয়ে আজও কেরলেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের ওপরে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৮৩ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু কেরলেই একদিনে সংক্রমিত ৩১ হাজার ২৬৫ জন। দেশে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬০।  


দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৩০ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩০। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৫৮।  এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন, ৩ কোটি ১৮ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৪২ জন। একদিনে ৩৫ হাজার ৮৪০ জন সুস্থ হয়েছেন।  বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৮১৮ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ৫৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৭৫।


এদিকে, এদিকে, কেরলেই একদিনে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ২৬৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। এদিকে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কিছুটা সামলে উঠতেই তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ে কিছুটা হলেও রক্ষা পেতে পারেন, যাঁদের ভ্যাকসিন হয়ে গিয়েছে কিংবা যাঁরা দ্বিতীয় ঢেউতে ভাল রকম লড়াই করে সুস্থ হয়েছেন। 


করোনার সেকেন্ড ওয়েভে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত হয়েছিলেন, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি থেকে যাবে, এমনটাই বলছে সমীক্ষা। সেক্ষেত্রে, বিপদ কিছুটা কম। আর যাঁদের দুটি করে ভ্যাকসিন হয়ে গিয়েছে তাঁরা কিছুটা হলেও সেফ। পশ্চিমবঙ্গেরই একেকটি জেলায় একেকরকম সেরো পজিটিভিটি। যেসব জায়গায় সেরো পজিটিভিটি বেশি,সেখানে তৃতীয় ঢেউয়ের অভিঘাত কম হওয়ার সম্ভাবনা কম।


সম্প্রতি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে,  পুজোর আগে অক্টোবরেই দেশে শিখর ছুঁতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়লে, তার জন্যও আগাম সতর্কতা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতায় শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে একাধিক সেফ হোম।