নয়াদিল্লি : রাস্তায় টোকেন নিয়ে রাখা মৃতদেহের সারি। প্রিয়জনের মৃতদেহে আগুন দিতে কোথাও কোথাও লেগে যাচ্ছে কুড়ি ঘণ্টারও বেশি। ছবিটা অন্য কোথার নয়, খোদ দেশের রাজধানীর। এই মুহূর্তে নয়াদিল্লির ছবিটা মৃত্যুনগরীর থেকে কম কিছু নয়। এর মাঝেই চলছে প্রিয়জনের প্রাণরক্ষার মরিয়া চেষ্টা। আর সেই সুযোগেরই দুর্ব্যবহার করছেন কিছু অসাধু কারবারী।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে সেখানে। সংক্রমণ, মৃত্যু থামার কোনও লক্ষ্মণই নেই। এর মাঝে মারণ ভাইরাস আক্রান্ত প্রিয়জনকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টার মাঝে কিছু অসাধু ব্যক্তির পাল্লায় গুণতে হচ্ছে মোটা মাশুল। মাত্র ৪ কিলোমিটার রাস্তা রোগীকে নিয়ে ঘোরার জন্য অ্যাম্বুলেন্স হেঁকেছে ১০ হাজার টাকা। বাধ্য হয়েই প্রিয়জনের প্রাণের তাগিদে তাই দিতে বাধ্য হয়েছেন একজন।
কিন্তু বর্তমান সোশ্যাল মাধ্যমের জগতে লুকিয়ে থাকে না কিছুই। আর্ত তাঁর গোটা ঘটনা ব্যক্ত করেছিলেন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে। আর যা নজরে পড়ে দিল্লি পুলিশের। এক আইপিএস গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে সেই অ্যাম্বুলেন্সের বিলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের পোস্ট করে তাঁর বার্তায় লিখেছেন, 'গোটা বিশ্ব কিন্তু দেখছে।'
মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা অসংখ্য মানুষ যেমন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে শক্তি জোগাচ্ছেন গোটা দেশকে। তেমনই কিছু অসাধু কারবারী সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন। তেমনই ঘটনার বিষয়টা সবাইকে জানিয়ে আইপিএস অরুন বোথরা পোস্ট করেছেন সেই অ্যাম্বুলেন্সের বিল। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, '৪ কিলোমিটার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা। আজ গোটা বিশ্ব কিন্তু আমাদের দেখছে। শুধু আমাদের ধ্বংসের ছবি নয় সঙ্গে মানবিকতাহীনতার এই কদর্য রূপ।'
সাধারণ সময়ে দিল্লিতে প্রথম ৫ কিলোমিটার যাত্রাপথের জন্য ৫০০ টাকা ধার্য করে অ্যাম্বুলেন্স। তারপর প্রত্যেক কিলোমিটার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে যোগ হতে থাকে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অসহায় মানুষকে এভাবে 'লুট' করার বিরুদ্ধে কার্যত গর্জে উঠেছেন নেট নাগরিকরা।