নয়াদিল্লি : কোভিড সুনামির মাঝে দেশবাসীর বিপর্যয় নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সাংসদের দাবি, বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড বিপর্যয় সামলাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। আর তাদের সেই ব্যর্থতার জের চোকাতে হচ্ছে ভারতবাসীকে। শুধু কেন্দ্রের কোভিড বিপর্যয় সামলাতে ব্যর্থতার জেরেই দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ আরও গরিব হয়ে গিয়েছেন বলেও আক্রমণ করেন রাহুল গাঁধী।
কংগ্রেস নেতার দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নাসিক ভূমিকার জেরে ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। রাহুল গাঁধী একটি রিপোর্ট পেশ করে অভিযোগ শানান, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সুনামির সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য হতে লকডাউনের পথে হেঁটেছে দেশের একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, আর যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে মানুষের রুজি রোজগারে।
ট্যুইটে রাহুল গাঁধী লিখেছেন, 'একজন মানুষের অহংকার ও একটি ভাইরাসের রূপান্তরের ফল।' যার সঙ্গে তিনি ৯৭ শতাংশ ভারতবাসীর আরও গরিব হয়ে যাওয়ার রিপোর্টটি জুড়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ রুখতে যে লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি হয়েছে, তার ফলে ৯৭ শতাংশ ভারতীয়র উপার্জন কমেছে। যে রিপোর্টে সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (সিএমআইই) চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মহেশ ব্যাসের বক্তব্য কোট করা হয়েছে।
যে রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাক কোভিড সময়ের ৮৫ মিলিয়ন থেকে এই মুহূর্তে বেতনভুক কর্মচারীর সংখ্যা একধাক্কায় কমে হয়েছে মাত্র ১১ থেকে ১২ শতাংশ। গতকালই সি ভোটারের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বেতনভুক কর্মচারীদের প্রায় ৩৭ শতাংশের বেতনে কমেছে এই অতিমারির সময়পর্বে।
এমনিতেই করোনার আঘাতে যেমন দেশবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর পড়েছে তেমনই পড়েছে পকেটের ওপরও। নতুন কাজ তৈরি হওয়া থেকে বাজারে থাকা কাজে বেতনে প্রভাব, সবদিকেই প্রবল নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর গতবছরের পর সেই একই ঘটনাক্রম পুনরাবৃত্তি হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল।
এমনকি রাহুল গাঁধী কেন্দ্রের ভ্যাকসিনেশন নিয়েও সমালোচনা ছুঁড়ে দিয়েছেন।