লখনউ : এমনিতেই দেশে চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই ভ্যাকসিনের। ফলে, অনেকের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। এই মুহূর্তে দ্রুত ভ্যাকসিন উৎপাদনের চাপ রয়েছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির উপর। এই পরিস্থিতিতে সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার CEO আদার পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের এক বাসিন্দা। পাশাপাশি আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


লখনউয়ের আশিয়ানা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতাপ চন্দ্র নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, কোভিশিল্ডের ডোজ নেওয়ার পরেও তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, গত ৮ এপ্রিল তিনি কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। ২৮ দিন পর তাঁর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ওইদিন তাঁকে জানানো হয়, দ্বিতীয় ডোজের সময় বাড়িয়ে ছয় সপ্তাহ করা হয়েছে।


সরকার যদিও পরে দুই ডোজের সময়ের ব্যবধান ১২ সপ্তাহ করেছে।


অভিযোগে প্রতাপ চন্দ্র বলেছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাঁর ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কারণ, তাঁর প্লেটলেট অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। তিনি তাঁর অভিযোগে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লাভ আগরওয়াল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের অধিকর্তা বলরাম ভার্গভ এবং ন্যাশনাল হেল্থ মিশনের অধিকর্তা অপর্ণা উপাধ্যায়েরও নাম করেছেন। 


IANS সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি সরকার অনুমোদিত ল্যাব থেকে কোভিড অ্যান্টিবডি জিটি টেস্ট করান। কিন্তু সেই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। উপরন্তু, তাঁর প্লেটলেট ৩ লক্ষ থেকে কমে দেড় লক্ষ হয়ে গিয়েছে।


পুলিশ যদিও এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও FIR দায়ের করেনি। কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে স্থানীয় পুলিশের তরফে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যদিও ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে FIR দায়ের না হলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। 


প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ভারতে দুই ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড। কোভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারক হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক। কোভিশিল্ড স্থানীয় স্তরে তৈরি করছে সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া।