নয়াদিল্লি : স্বচ্ছতার প্রশ্নে বিশেষ পরামর্শ দিল্লি হাইকোর্টের। রাজধানীর যাবতীয় অক্সিজেন সরবরাহকারী ও হাসপাতালগুলিকে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গঠন করার পরামর্শ দিল তাঁরা। অক্সিজেনের অভাব এখনও সামাল দিয়ে উঠতে পারেনি নয়াদিল্লির একাধিক হাসপাতাল। কীভাবে গোটা পরিস্থিতি সামলানো যায় ও বর্তমান অবস্থা নিয়েই দিল্লি হাইকোর্টে এক মামলার ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই মুহূর্তে গোটা দেশই লন্ডভন্ড। যে রাজ্যগুলির অবস্থা সবথেকে খারাপ, তাদের মধ্যে অন্যতম দিল্লি। যেখানে লকডাউন বাড়ানো হলেও সংক্রমণ থামার এখনও কোনও লক্ষ্মণ নেই। যার জেরে মৃত্যুহারও প্রচণ্ড বেশি। ভয়ঙ্কর অবস্থা হাসপাতালের বেড পাওয়ার ক্ষেত্রেও। বেশ অনেকগুলো হাসপাতালে ইতিমধ্যে অক্সিজেনের অভাবে মারাও গিয়েছেন অনেকেই।


দিল্লিতে অক্সিজেন অভাবের ভয়াবহতা বলতে গিয়ে শুনানির মাঝে এদিন কেঁদে ফেলেন বার কাউন্সিল অফ দিল্লির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র আইনজীবী রমেশ গুপ্তা। তিনি বলেন, অক্সিজেন, ওষুধ, হাসপাতালের বেড চেয়ে প্রত্যেকের কাছেই রোজ একাধিক ফোন আসছে। আইনজীবী সঙ্গীরা ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে বলছেন, অক্সিজেন না পেলে হয়তো বাঁচবে না, বলার পরই চোখের জল আর সামলে রাখতে পারেননি তিনি।


দিল্লির বর্তমান আয়ত্ত্বের বাইরে যাওয়া পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কেন সেনা নামানো হচ্ছে না সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। যার উত্তরে দিল্লি হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনার বিরুদ্ধে আর বিষয়টা লড়াইয়ে আটকে নেই, আমরা রীতিমতো যুদ্ধ করছি।


গোটা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সরবরাহকারীরাও সব জায়গায় অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারছেন না বলে মেনে নেন। যার পরই সব পক্ষের মধ্যে যাতে যোগাযোগের অভাব বা স্বচ্ছতার অভাব না হয় তাই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির কথা বলে দিল্লি হাইকোর্ট।


কিছুদিন আগেই দিল্লির অক্সিজেনের কালোবাজারীর বেশ কিছু খবর সামনে আসতেই দিল্লি সরকারকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। অক্সিজেন সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন ভাবে করতে যে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে যেন দিল্লি সরকার পিছপা না হয় সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট।