গুরুগ্রাম : রাজ্যে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি। ক্রমাগত আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে গুরুগ্রামে। তীব্র হচ্ছে অক্সিজেন ও বেড সঙ্কটও। সেই দিকে নজর রেখে হরিয়ানা সরকার জমায়েতে রাশ টানার জন্য উইকএন্ড লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পঞ্চকুলা, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ , সোনিপত, রোহতক, করনল, হিসার, সিরসা সহ নটি জেলায় উইকএন্ড লকডাউন জারি হয়ে গেছে।
হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যসচিব, বিজয় বর্ধন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১0 টা থেকে সোমবার অর্থাৎ ৩ মে ভোর ৫ টা অবধি চলবে লকডাউন । জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫ অনুযায়ী এই লকডাউন জারি করা হয়েছে । কেউ যদি এই লকডাউন এর বিধি ভঙ্গ করে, তাহলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন লকডাউন চলাকালীন রাজ্যবাসীকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
- কেউ হেঁটে বা গাড়িতে চড়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না । রাস্তায় ইতিউতি ঘুরে বেড়াতেও পারবেন না ।
- যদিও কিছু জরুরি পরিষেবাকে এই লকডাউন এর আওতা থেকে বাইরে রাখা হয়েছে । তার মধ্যে স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ও সংবাদ মাধ্যম রয়েছে ।
- এছাড়া উর্দি পরা অবস্থায় পুলিশ, সামরিক বাহিনী বা সিএপিএফ-রাও লকডাউনের আওতার বাইরে।
- কেউ পরীক্ষা দিতে গেলে বা পরীক্ষার কোনও ডিউটিতে থাকলে, তাকে লকডাউন এর আওতা থেকে বাইরে রাখা হবে ।
- জরুরি পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই । অন্য রাজ্যে বা রাজ্যের মধ্যে পণ্য পরিবহনে কোনও বাধা নেই ।
- অবশ্যই খোলা থাকবে সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাসপাতাল, নার্সিং হোম ।
- ওষুধের দোকান, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতির দোকান, গবেষণাগার, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সবকিছু এই লকডাউন এর আওতায় বাইরে থাকছে।
- ব্যাহত হবে না টেলিকমিউনিকেশন বা ইন্টারনেট পরিষেবা ।
- যে সমস্ত বিয়ের জন্য আগে থেকেই অনুমতি নেওয়া ছিল জেলা শাসকের কাছে, তারা অনুষ্ঠান করতে পারবে । ঘরের মধ্যে অনুষ্ঠান হলে সর্বাধিক ৩০ জন , বাইরে অনুষ্ঠান হলে সর্বাধিক ৫০-র হাজিরা থাকতে পারবে।