নয়া দিল্লি : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও কমল করোনা সংক্রমণ (Corona Infection)। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৮৭৭ জন। এর আগের দিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫০ হাজার ৪০৭  জন। তার আগের দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৭৭ জন।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৫ জন। যা মোট সংক্রমণের ১.২৬ শতাংশ। এদিকে দৈনিক পজিটিভিটির হার ঠেকেছে ৩.১৭ শতাংশে। সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হার ৪.৪৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৯১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে সুস্থতার হার ৯৭.৫৫ শতাংশ। তৃতীয় ঢেউয়ে এই প্রথম শনিবার মুম্বইয়ে পজি়টিভিটির হার এসে দাঁড়িয়েছে ১ শতাংশের নীচে।


 





এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার শুক্রবার লোকসভায় জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ১৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। লোকসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 


আরও পড়ুন ; করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু কতজনের, জানাল সরকার


মন্ত্রী লোকসভাকে জানান যে, টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেরলে ঘটেছে। ওই রাজ্যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর মহারাষ্ট্রে ১৫ জন, পশ্চিমবঙ্গে ১৪ জন, মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশায় ১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। অন্য একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য বলেছেন,  সদ্যোজাতদের স্তনপ্রদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে টিকাকরণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাবের ১৩ টি ঘটনা গত ৩ ফেব্রুয়ারি সামনে এসেছিল, আর ওই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল খুবই নগন্য।


এদিকে বৃহস্পতি, শুক্রবারের থেকে শনিবার রাজ্যে অনেকটাই কমে সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার দৈনিক আটশোর ওপরে থাকলেও শুক্রবার তা কমে হয় সাতশোর ঘরে। শনিবারে তা আরও কমে হয় ছ'শোর ঘরে। স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) প্রকাশিত শেষ বুলেটিন অনুসারে, রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৬৭২ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ ১০ হাজার ৩৮৯ জন। দৈনিক মৃত্যু হয় ২৫ জনের। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৯৯০ জনের।