নয়াদিল্লি :
রোগীর আত্মীয় : 'রাত তিনটে থেকে ঘুরছি রোগী নিয়ে। কোথাও বেড ক্রাইসিস, কোথাও অক্সিজেন নেই। '
এবিপি আনন্দ : তারপর কী করলেন ? 
রোগীর আত্মীয় : দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের বাইরে এই অ্যাম্বুলেন্সের চালক ভাইয়াকে অনুরোধ করলাম। উনি রাজি হলেন । এখন অ্যম্বুলেন্সের মধ্যই শুইয়ে রেখে অক্সিজেন দিচ্ছি, যেটুকু পাওয়া যায়।....



এই পরিস্থিতি শুধু একটি হাসপাতালে নয়। সারা দিল্লি জুড়ে। হাসপাতালে হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কট। হাহাকার। বিনা চিকিত্সায় মৃত্যুর অপেক্ষা। হাসপাতালে ভর্তি তো দূর অস্ত, রোগী দেখারই ডাক্তার নেই, অভিযোগ কারও কারও। অক্সিজেন সঙ্কট এতটাই চরমে, কোনও হাসপাতাল আর নতুন রোগী নিতে পারছে না। প্রাণবায়ুর জন্য রাস্তাতে, গাড়িতে ছটফট করছে করোনা রোগীরা। ছুটে বেড়াচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। 

অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালে হাহাকার। আর মাত্র চার ঘণ্টা চলার মতো অক্সিজেন বাকি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উদ্বেগের মধ্যে এক-একটা মুহূর্ত কাটছে রোগীর পরিজনদের। পরিস্থিতি এমনই রাস্তায় অক্সিজেনবাহী গাড়ি দাঁড় করিয়ে সাহায্য চাইছেন রোগীর আত্মীয়রা। অন্যদিকে লখনউতে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। 

দিল্লির একাধিক হাসপাতলে অক্সিজেন সংকট চরমে । রাজীব গাঁধী সুপারস্পেস্যালিটি হাসপাতালে ধরা পড়ল ভয়াবহ চিত্র । সেখানে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা ব্যাবহার এর মতোই অক্সিজেন পড়ে রয়েছে । সেখানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিতসা দেওয়ার মতো অক্সিজেনের ভাঁড়ার প্রায় শেষ, জরুরি পরিস্থিতিতে কেন্দ্র দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য অক্সিজেনের বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছে । অথচ চাহিদা মেটার কোনও লক্ষনই নেই। 

বৃহস্পতিবার সকালে মাতা চানন দেবী হাসপাতালে দেখা গেল হাহাকার-চিত্র। সেখানে ২00 জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত অক্সিজেন নির্ভর । কিন্তি স অক্সিজেনের স্টক প্রায় শেষ।  দিল্লি সরকার দ্বারা চালিত রাজীব গাঁধী সুপারস্পেস্যালিটি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট চরমে। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানেও বাকি পড়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মতো অক্সিজেন। এই মুহূর্তে সেখানে অক্সিজেন প্রয়োজন ওই হাসপাতালে ৯০০র বেশি করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে ।