নিউ দিল্লি : ধেয়ে আসছে বাংলা-ওড়িশা উপকূলের দিকে। বুধবার দুপুরের পরই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এদিকে তাঁদের তরফে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৯৯টি দল মোতায়েনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল এসএন প্রধান।


টুইট করে তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় পাঁচটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৯৯টি টিমের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ওড়িশায় থাকছে ৫২টি টিম, ৩৫টি পশ্চিমবঙ্গে এবং বাকিগুলি অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। 


NDRF সূত্রে খবর, ওড়িশায় ইতিমধ্যে ১৮টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি আছে বালাসোরে, ৪টি ভদ্রকে, ৩টি কেন্দ্রাপাড়ায়, ২টি জজপুরে এবং একটি করে জগৎসিংপুর ও ময়ূরভঞ্জে। এর পাশাপাশি আরও ৪টি দল রিজার্ভে রাখা হয়েছে। ওড়িশা সরকার সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন এলাকায় ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৬৬টি ও দমকলের ১৭৭টি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 


এর পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে NDRF-এর ৯৫০ জন সদস্যকে এয়ারলিফ্ট করার জন্য প্রস্তুত আছে সশস্ত্র বাহিনী। দ্রুত কাজে লাগানোর জন্য ২৬টি হেলিকপ্টার তৈরি রাখা হয়েছে। এছাড়া সেনার আটটি ফ্লাড রিলিফ বাহিনী ও তিনটি ইঞ্জিনিয়ার টাস্ক ফোর্স প্রস্তুত আছে। 


ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, এই ঘূর্ণিঝড় অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আগামী ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করবে।


এদিকে আজ সাইক্লোন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,‘সেনাবাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সরকারের সব এজেন্সিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি আছি। বিদ্যুৎ বিপর্যয় মোকাবিলায় ১ হাজারটি দল প্রস্তুত আছে। ১০ লক্ষ মানুষকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’