নয়দিল্লি :  করোনা চিকিৎসায় এই মুহূর্তে আইভারমেকটিন প্রেসক্রাইব করছেন বহু চিকিৎসকই । অনেকেই করোনা পজিটিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইভারমেকটিনের ( ( ivermectin  )কোর্স শুরু করে দিচ্ছেন। সোমবার আবার,  গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে করোনা চিকিৎসায় ১৮ র ঊর্ধ্বে সকলকে আইভারমেকটিন খাওয়ার পরামর্শ দেন । এরপরই মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফ থেকে করোনা চিকিৎসায় আইভারমেকটিন ব্যবহারের বিপক্ষে মত দেওয়া হয়েছে । 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) শীর্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, এই ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে । চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আইভারমেকটিন খাওয়ার বিরুদ্ধে হু।  করোনা চিকিৎসায়  ওষুধ ব্যবহারের আগে রোগীর সুরক্ষার কথা এবং ওষুধের কার্যকারিতার বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার বলে মনে করেন তিনি। 


গোয়া সরকার সোমবার একটি নতুন একটি কোভিড  প্রোটোকল প্রকাশ্যে আনেন । যেখানে ১৮ র বেশি বয়সের প্রত্যেককে আইভারমেকটিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আইভারমেকটিন সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যাবে । গোয়ার যে-কেউ , কোভিড পজিটিভ হউন বা না হউন, খেতে পারেন এই ওষুধ । 

গত সপ্তাহে একটি গবেষণায় দাবি করা হয়, আইভারমেকটিন করোনার ভাইরাসের প্রকোপ একেবারে কমিয়ে দিতে পারে । বিশেষত করোনার সংক্রমণ এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রতিহত করতে পারে এই ওষুধ । ওই রিসার্চ টিমে আছেন মার্কিন সরকারের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীও। এটি প্রকাশিত হয়েছে American Journal of Therapeutics এ। অন্যদিকে সৌম্যা স্বামীনাথন আবার অন্য একটি গবেষণা পত্র তুলে ধরে আইভারমেকটিন ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 

জার্মান স্বাস্থ্য সংস্থা  Merck -এর একটি রিপোর্টকে সামনে রেখে স্বামীনাথনের দাবি, আইভারমেকটিন ব্যবহারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এর আগে গত মার্চেও WHO জানিয়েছিল, কোভিডের চিকিত্সায় আইভারমেকটিনের তেমন কোনও ইতিবাচক দিক নেই। বলা হয়, ' মৃত্যুর হার, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং শরীর থেকে ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে আইভারমেটিনের প্রভাব সম্পর্কে 'খুব কম প্রমাণ্য সত্য' আছে। 

অন্যদিকে, The US Food and Drug Administration- ও গত বছর দাবি করে, কোভিডের চিকিত্সায় আইভার মেকটিন তেমন কোনও ভূমিকা নেই।