নয়াদিল্লি: দেশে করোনা সংক্রমণের (COVID Cases) প্রকোপ বাড়লেও, টিকাকরণে (COVID-19 Vaccination) জোরাজুরি খাটে না। ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে টিকা দেওয়ার কোনও নির্দেশও দেওয়া হয়নি (No Forceful Inoculation)। টিকা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। ভিন্ন ভাবে সক্ষম নাগরিকদের টিকার শংসাপত্র দেখানো থেকে নিস্তার দেওয়া নিয়ে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায়, তারা জোর করে টিকা দেওয়ার পক্ষপাতী নয়।


গত ১৩ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত মামলায় আদালতে হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্র। তাতে বলা হয়, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রকাশিত কোনও নির্দেশিকায় কোথাও ইচ্ছার বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার নির্দেশ নেই।’’ কেন্দ্রের দাবি, অতিমারি পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে সার্বিক টিকাকরণের পক্ষে সরকার। বিজ্ঞাপন এবং প্রচারের মাধ্যমে সেই মতো জনসংযোগও গড়ে তোলা হচ্ছে। নেটমাধ্যমে এবং সংবাদমাধ্যের মাধ্যমে শুধু এটুকুই জানানো হচ্ছে যে, প্রত্যেক নাগরিকের টিকা নেওয়া উচিত। এবং সরকার তার ব্যবস্থা করেছে।


আরও পড়ুন: Covid19: করোনা আবহে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তের কোনও যৌক্তিকতা নেই, মত বিশ্ব ব্যাঙ্কের গ্লোবাল এডুকেশন ডিরেক্টরের


আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্রের সাফ বক্তব্য, ‘‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাউকে টিকা দেওয়া উচিত নয়।’’   


ভিন্ন ভাবে সক্ষমদের নিয়ে কাজ করা ইলুরু ফাউন্ডেশনের তরফে সম্প্রতি সম্প্রতি আদালতে আবেদন জমা পড়ে। তাতে ভিন্ন ভাবে সক্ষম সকলের টিকাকরণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার দাবি জানায় তারা। সেখানেই ভিন্ন ভাবে সক্ষমদের টিকার শংসাপত্র দেখানোর প্রসঙ্গ উঠে আসে। বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা উচিত নয় বলে দাবি জানায় সংগঠনটি। তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্র জানায়, নাগরিকদের টিকার শংসাপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক বলে কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি কেন্দ্র।


তবে টিকাকরণ বাধ্যতামূলক নয় বলে কেন্দ্র জানালেও, লোকাল ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রে টিকার শংসাপত্র দেখান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই ভাবে করোনার টিকা না নিলে, রাজ্য চিকিৎসার খরচ বহন করবে না বলে ঘোষণা করেছে কেরল সরকার।