নয়াদিল্লি: করোনা আবহে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তের কোনও যৌক্তিকতা নেই। স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত একমাত্র শেষ পন্থা হতে পারে। দাবি বিশ্ব ব্যাঙ্কের গ্লোবাল এডুকেশন ডিরেক্টরের। স্কুল খুললেই করোনা (Corona Case) সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে এরকম কোনও প্রমাণ নেই। মত বিশ্ব ব্যাঙ্কের গ্লোবাল এডুকেশন ডিরেক্টরের (World Bank Education Director) ।


বিশ্ব ব্যাঙ্কের গ্লোবাল এডুকেশন ডিরেক্টর জেইম সাভেদ্রার মতে, মহামারিকে সামনে রেখে স্কুল বন্ধ রাখার এখন কোনও যুক্তি নেই। শিক্ষা ক্ষেত্রে করোনার প্রভাবের উপর পর্যবেক্ষণ করছে গ্লোবাল এডুকেশন ডিরেক্টরের টিম। পর্যবেক্ষণ করে তাদের মত,  স্কুল ‘নিরাপদ জায়গা’ নয় এমন প্রমাণ মেলেনি। ওয়াশিংটনে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শিশুদের টিকাকরণ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা অর্থপূর্ণ নয়। কারণ এর পিছনে কোনও ‘বিজ্ঞান’ নেই। স্কুল খোলা এবং করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। "রেস্তোরাঁ, বার এবং শপিং মল খোলা রাখা এবং স্কুল বন্ধ রাখার কোনও মানে হয় না। এটা যুক্তিহীন।’’


তাঁর কথায়, করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক পর্ব অর্থার ২০২০ সালে এই ভাইরাস সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতাম না। কীভাবে মহামারি মোকাবিলা করা যায়, সে সম্পর্কেও কোনও ধারণা ছিল না। বিশ্বের বহু দেশ তাৎক্ষণিকভাবে স্কুল বন্ধ করেছিল। ২০২০, ২০২১ সালে বেশ কয়েকটি ঢেউ সামলেছি আমরা। ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশ স্কুলে পঠনপাঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে।


দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষার্থে একাধিক রাজ্য স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। করোনা আবহে ৩ জানুয়ারি থেকে এরাজ্যে বন্ধ রয়েছে স্কুল। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে বন্ধ স্কুল-কলেজ। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত তেলঙ্গানায় বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে বন্ধ সমস্ত স্কুল-কলেজ। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে বন্ধ স্কুল। ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত কেরলে নবম শ্রেনি পর্যন্ত সশরীরে উপস্থিতি নয়।


আরও পড়ুন: PM Modi WEF Address: কাল ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে বিশেষ ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর