নয়াদিল্লি: ফের কোভিডের আশঙ্কা। এবার ভারতে আসতে পারে চতুর্থ কোভিড ঢেউ। পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে রাখতে আগে থেকেই রাজ্যগুলিকে কড়া পদক্ষেপের পরামর্শ কেন্দ্রের। আপাতত দেশে কমছে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু তার পরেও সামান্য ঢিলে দিতে রাজি নয় কেন্দ্র। 


কোভিড লড়াইয়ে five-fold পদ্ধতিতে আস্থা রাখতে কেন্দ্র। তেমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। সেই পদ্ধতি কী? করোনা পরীক্ষা, সংক্রমণের হদিশ বা ট্র্যাক, চিকিৎসা, টিকাকরণ এবং কোভিড বিধি পালন। এই চারটি বিষয়ে নজর রাখার বলছে কেন্দ্র। পরীক্ষা বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। INSACOG নেটওয়ার্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে নমুনা পাঠাতে বলা হয়েছে। নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এলে যাতে তা দ্রুত ধরা পড়ে, তা নিশ্চিত করতেই এই পরামর্শ। রাজ্যগুলিকে চিঠিতে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। 


এর সঙ্গেই টিকাকরণ বৃদ্ধিতেও জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। যাঁরা যাঁরা টিকার আওতায় পড়ছেন, তাঁরা সকলে যেন দ্রুত টিকা নেন সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। কারণ টিকাকরণ হলে কোভিড ঢেউ এলেও তা রোখা সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিকমতো যাতে কোভিড বিধি মেনে চলা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যও চিঠিতে লেখা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।


এরমধ্যেই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন গবেষকরা। আইআইটি কানপুরের গবেষকদলের দাবি, কয়েক মাসের মধ্যে দেশে ফের হানা দিতে পারে কোভিড ঢেউ। গবেষক দলটির দাবি, ভারতে মোটামুটি চার মাস ধরে চলবে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ। গবেষণাপত্রে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৫ আগস্টের পর থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিখরে থাকবে কোভিড সংক্রমণের ঢেউ। এর আগে কোভিড সংক্রমণের ঢেউ নিয়ে গবেষকরা যা বলে এসেছেন তা মোটামুটি মিলে গিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য সেই মডেল মেলেনি। আইআইটি কানপুরের ম্যাথামেটিক্স এবং স্ট্যাটিস্টিক্স বিভাগের তরফে এই গবেষণা করা হয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিবিজ্ঞানের একটি বিশেষ মডেল (statistical model) মেনে এই পূর্বাভাস করা হয়েছে। 


সম্প্রতি চিন, হংকংয়ে ফের বেড়েছে কোভিড সংক্রমণ গ্রাফ। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে দেশগুলিকে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল, তারপরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের।  


আরও পড়ুন: প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ভরসা নিরামিষে?