নয়া দিল্লি : যা অনুমান করা হয়েছে তার অনেক আগেই শিখরে উঠতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Covid Third Wave)। সর্বোচ্চ আর তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এদিকে গ্রামীণ জেলাগুলিতে (Rural Districts) ডিসেম্বর মাস থেকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সংক্রমণ বেড়েছে, এমনই বলছে একটি রিপোর্ট।


এসবিআই রিসার্চ (SBI Research) মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষস্থানে থাকা ১৫ টি জেলাতে নতুন কেসের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে। এই ১৫টি জেলায় ডিসেম্বরে ৬৭.৯ শতাংশ থেকে জানুয়ারিতে ৩৭.৪ শতাংশে নেমেছে সংক্রমণ। অবশ্য এই ১৫টি জেলার মধ্যে ১০টিই বড় শহর। এর মধ্যে আবার বেঙ্গালুরু ও পুণেতে এখনও সংক্রমণের হার বেশি। গ্রামীণ জেলাগুলিতে সার্বিক হারে নতুন কেসের সংখ্যা জানুয়ারিতে ৩২.৬ শতাংশ বেড়েছে। ডিসেম্বরে যা ছিল সর্বনিম্ন। ১৪.৪ শতাংশ।


আরও পড়ুন ; দৈনিক সংক্রমণে এক দিনে প্রায় ২০ হাজার পতন, মৃত্যু এখনও ৩০০-র উপরেই


আশার আরেকটি কারণ, ভারত যোগ্য জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশকে পুরোপুরি টিকাকরণ করে ফেলেছে। অন্যদিকে ৮৯ শতাংশকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। মোট টিকাকরণের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ এলাকায় টিকাদানের হার এখন ৮৩ শতাংশ। যা ইঙ্গিত দেয় যে, বর্তমান ঢেউয়ে গ্রামীণ জনগণ অনেকটাই সুরক্ষিত।


অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, কর্ণাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ড ইতিমধ্যে তাদের যোগ্য জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরও বেশিকে ডবল ডোজ দিয়ে ফেলেছে। তবে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ড এখনও পিছিয়ে রয়েছে।


তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মুম্বইয়ে নতুন সংক্রমণ (৭ জানুয়ারি ২০,৯৭১ টি মামলা) ইতিমধ্যেই শীর্ষে পৌঁছেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে, অন্যান্য জেলার (বেঙ্গালুরু, পুণে ইত্যাদি) ক্ষেত্রে দৈনিক নতুন সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসবিআই-এর প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষ রিপোর্টে বলেছেন, সুতরাং, যদি অন্যান্য জেলাগুলিও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে এখন থেকে দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় স্তরে শিখরে উঠতে পারে করোনা সংক্রমণ।