নয়াদিল্লি : করোনার টিকা পেতে এতদিন যেটা ছিল এক এবং একমাত্র মাধ্যম, এবার থেকে আর বাধ্যতামূলকই রইল না কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক নতুন যে নির্দেশিকা প্রকাশ করল, যেখানে জানানো হয়েছে, করোনা ভ্যাকসিন পেতে কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে নাম রেজিস্ট্রেশন অথবা বুকিং আর বাধ্যতামূলক নয়। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ কোউইনে রেজিস্ট্রেশন বা বুকিং ছাড়াই সরাসরি টিকাকেন্দ্রে গিয়ে পাবেন কোভিডের টিকা।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনার টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে থাকা অনেক মাধ্যমের মধ্যে কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন অন্যতম একটি পন্থা। কিন্তু সেখানে রেজিস্ট্রেশন না থাকলে টিকাকরণ আটকাবে না। গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মীদের সরাসরি টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে যেখানে।


নতুন নির্দেশিকার সঙ্গে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, 'কোউইন অ্যাপে এখনও পর্যন্ত যে মোট ২৮.৩৬ কোটি মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের মধ্যে ১৩ জুন পর্যন্ত ১৬.৪৫ কোটি মানুষেরই (৫৮ শতাংশ) টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। অনেক টিকা গ্রহিতার ক্ষেত্রেই টিকাদান কেন্দ্রেই কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছে।'


তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে, কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ১৩ জুন পর্যন্ত মোট ২৪.৮৪ কোটি করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১৯.৮৪ কোটি (প্রায় ৮০ শতাংশ) ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রেই কোউইন অ্যাপে অন স্পট রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছিল দেশে।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতিতে এটাও জানানো হয়েছে, টিকাকরণের প্রক্রিয়া বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলে যথেষ্ট ভালো হয়েছে। যা নিয়ে দেওয়া হয়েছে তথ্য পরিসংখ্যান। পাশাপাশি আরও একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, টিকা নেওয়ার পর মাত্র ০.০০০২ শতাংশ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, '২৩.৫ কোটি টিকাকরণের পরও কোভিড সংক্রান্ত ইস্যুতে ৪৮৮ জনের মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে। যা শতাংশের হিসেবে মাত্র ০.০০০২ শতাংশ।'