নয়াদিল্লি: বড় ঘোষণা করল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে কোভিশিল্ডের দাম ঘোষণা করা হল।
সংস্থা জানাল, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্য সরকারগুলির জন্য ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম পড়বে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ, সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিনের এক-একটি ডোজ মিলবে ৪০০ টাকায়।
অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
দেশে বেলাগাম করোনা পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিল সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের করোনা ভ্যাকসিনের দাম উল্লেখ করে সিরামের তৈরি কোভিশিল্ডের দাম তুলনায় অনেকটাই কম বলে দাবি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার।
আমেরিকার ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম ভারতীয় মুদ্রায় দেড় হাজার টাকা। রাশিয়ান ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৭০০ টাকা। চিনা ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দামও ভারতীয় মুদ্রায় ৭৫০ টাকা।
ভারতে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ হওয়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা! এই পরিস্থিতিতে সোমবার গুরুত্বর্ণ দু’টি সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এক, ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশী বয়সী সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দুই, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি সরাসরি ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন রাজ্য সরকার এবং খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারবে।
দ্বিতীয়টি উল্লেখযোগ্য কারণ, এতদিন ভ্যাকসিন বণ্টন প্রক্রিয়াটি গোটাটাই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু, এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকার খোলা বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রির সবুজ সঙ্কেত দেয়।
ভ্যাকসিনেশনের প্রথম ধাপে কোভিড যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ৪৫ বছরের বেশি বয়সী এবং কোমরবিডিটি রয়েছে এমন নাগরিকদের।
এরপর ৪৫ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়।
এবার বয়ঃসীমা নামিয়ে আনা হল আঠেরোয়।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েও, বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দিতে গিয়েই যেখানে ভ্যাকসিনের আকাল তৈরি হয়েছে, সেখানে ১৮ বছরের বেশী বয়সীদের দেওয়ার জন্য ভ্যাকসিন আছে তো?