নয়াদিল্লি: ভারতের প্রথিতযশা পদার্থবিজ্ঞানী স্যর চন্দ্রশেখর রমন। সিভি রমন নামেই তিনি সমধিক প্রসিদ্ধ। প্রথম এশিয় হিসেবে  বিজ্ঞানে ১৯৩০ সালে মর্যাদাপূর্ণ নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। আলোক বিচ্ছুরণের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী গবেষণার জন্য পরিচিত সিভি রমন।  তাঁর আবিষ্কার পদার্থ বিজ্ঞান জগতে রমন এফেক্ট নামে পরিচিত। ১৮৮৮ সালের ৭ নভেম্বর তাঁর জন্ম। ১৯৭০-এর ২১ নভেম্বর তিনি প্রয়াত হয়েছিল।  গতকালই ছিল তাঁর ১৩৩ তম জন্মদিন।  এই বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য ও তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্ধৃতি জেনে নেওয়া যাক। 


সিভি রমন  বলেছেন, বিজ্ঞানের সারমর্ম হল স্বাধীন চিন্তা, কঠোর পরিশ্রম, কোনও উপকরণ নয়। নোবেল পুরস্কার পাওয়া পর আমার সরঞ্জাম কিনতে মাত্র ২০০ টাকা খরচ করেছিলাম।


'মাতৃভাষায় বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রয়োজন। না বিজ্ঞান মুষ্টিমেয়র মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। সর্বসাধারণের মধ্যে তা বিস্তার লাভ করতে পারবে না।' 


'আমি তরুণ ও তরুণীদের আশা ও সাহস না হারাতে বল। সাহসের সঙ্গে কাজে আত্মনিবেদনের মাধ্যেই সাফল্য আসে।'


-অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সিভি রমন। মাত্র ১৯ বছর বয়সেএই পদে তিনি কলকাতায় ইন্ডিয়ান ফিনান্স সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন।চাকরি করতে থাকলেও তাঁর হৃদয় ও আত্মা বিজ্ঞানের প্রতিই নিবেদিত ছিল।


-আইএসিএ-তে গবেষণা করতেন এবং  নেচার, ফিজিক্স রিভিউ-র মতো প্রথমসারির জার্নালে তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। ১৯১৭-তে তিনি সরকারি চাকরি ছাড়েন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালিত চেয়ার অফ ফিজিক্সের প্রস্তাব গ্রহণ করেন।


-প্রথম ভারতীয়, এশিয় ও অ-শ্বেতাঙ্গ হিসেবে তিনি বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। 


-ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ  সায়েন্সেস (আইএসিএস)-এ তিনি তাঁর আগ্রহের ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে গবেষণার সুযোগ পান। 


-১৯৩৩-এ ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেস (আইআইএসসি)-র প্রথম ভারতীয় ডিরেক্টর হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন তিনি। 


-আলোক বিচ্ছুরণ সম্পর্কে সিভি রমনের প্রথম গবেষণাপত্র প্রতাশিত হয়েছিল যখন তিনি ১৯০৬-এ এই বিষয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছিলেন। 


-১৯৫৪-তে তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন প্রদান করা হয়।