নয়া দিল্লি: ফের অশান্ত ভারত-পাক (India-Pakistan) সীমান্ত। এবার জলপথে। গুজরাট (Gujrat) উপকূলে পাক মেরিটাইম সিকিউরিটি কর্মীদের গুলিতে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক মৎস্যজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে ফের উদ্বেগ বেড়েছে। ভারতীয় নৌকায় কেন গুলি চলল, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদের (Islamabad) সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ভারতের তরফে এই সমস্যার কথা পাকিস্তানের কূটনীতিকদের কাছে আগে তুলে ধরা হবে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে, শুরু হয়েছে তদন্ত। গুজরাট উপকূলে আরব সাগরে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমারেখার কাছে পাকিস্তান মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সি (পিএমএসএ) কর্মীদের গুলিতে মহারাষ্ট্রের একজন মৎসজীবী নিহত হন।
জানা গিয়েছে রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে। দেবভূমি দ্বারকার পুলিশ সুপার সুনীল জোশিকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, "মহারাষ্ট্রের থানে থেকে একজন মৎসজীবী, যিনি মাছ ধরার নৌকা 'জলপরি'-তে ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় পিএমএসএ কর্মীরা তাঁকে এবং অন্যান্য সদস্যদের উপর গুলি চালায়। এই ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে এক সদস্য।"
আরও পড়ুন, উত্তুরে হাওয়ায় আরও নামল তাপমাত্রা, এই শীত শীত ভাব কতদিন? কী পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের
রবিবার শ্রীধর রমেশ চামরে (৩২) নামে নিহত মৎসজীবীর মরদেহ ওখা বন্দরে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে পোরবন্দর নৌসেনা পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। জানা গিয়েছে ২৫ অক্টোবর সাত জনকে নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন শ্রীধর রমেশ। ওখা বন্দর থেকেই রওনা দিয়েছিলেন তারা। এদের মধ্যে পাঁচজন গুজরাটের এবং দুজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কারওকে গ্রেফতার করা হয়নি। পাকিস্তান নৌ সেনার তরফেও কোনও বিবৃতি মেলেনি।
এই ঘটনা নতুন নয়। গত মার্চে ১১ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করেছিল পাক সেনা। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয় দু’টি ট্রলারও। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে একই ভাবে ১৭ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে পাক সেনা। বাজেয়াপ্ত করা হয় তিনটি ট্রলার।