সৌরাষ্ট্র : আজ, বৃহস্পতিবার রাতে অথবা শুক্রবার সকালেই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় শাহিন। উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে তৈরি হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। এর জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সৌরাষ্ট্র, গুজরাত ও কঙ্কন অঞ্চলে। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর।


সৌরাষ্ট্রের ওপর এই সময় নিম্নচাপ অবস্থান করছে। এর পর তা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে গতিপথ বদলে নিতে পারে। উত্তর-পূর্ব দিকে গিয়ে আরবসাগরের ওপর বিরাজ করবে এবং পরে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে ঘূর্ণিঝড় শাহিনে পরিণত হবে। এর পর ঘূর্ণিঝড় শাহিন পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম হয়ে ভারতীয় উপকূল ছাড়িয়ে পাকিস্তান-মকরন উপকূলে পৌঁছবে । ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। 


এদিকে এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবে সৌরাষ্ট্র ও কছ এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। গুজরাত, উত্তর কঙ্কন, পশ্চিম গাঙ্গেয় এলাকা, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অক্টোবরের ৩ তারিখ পর্যন্ত বিহারেও হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে মৎস্যজীবীদের উত্তর ও সংলগ্ন মধ্য আরব সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন ; অন্ধপ্রদেশের সান্থাগুড়ায় আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় গুলাব


এদিকে সম্প্রতি অন্ধপ্রদেশের সান্থাগুড়ায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় গুলাব । নিম্নচাপের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে। শনিবার থেকেই একটু একটু করে খারাপ হচ্ছিল আবহাওয়া। রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। 


আরও পড়ুন ; শক্তি কমিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত গুলাব, কতটা প্রভাব এ রাজ্যে?


ঠিক ৪ মাস আগে, ওড়িশার ধামড়ার কাছে ১৩৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে কাঁপিয়ে গতবছরের ২০ মে, ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটারের গতিতে তাণ্ডব চালায় আমফান।