নয়াদিল্লি: দেশের মধ্যে নজির গড়ল দিল্লি। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, রাজধানীতে ১ কোটিরও বেশি টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্করা কোভিড ভ্যাকসিন পেয়েছেন।


এপ্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আজ পর্যন্ত দিল্লিবাসী ১ কোটির বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়েছে। সব মিলিয়ে ৭৪ লক্ষ মানুষকে কোভিডের টিকা দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে ২৬ লক্ষের কোভিড টিকার দু'টি ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকিরা একটা ডোজ নিতে পেরেছেন। ইতিমধ্যেই রাজধানীতে ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্করা টিকার প্রথম ডোজ নিতে পেরেছেন।'


কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, দিল্লিতে বর্তমানে প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যা রয়েছে। যাঁদের মধ্যে ১.৫ কোটির বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। এঁরা সবাই ভ্যাকসিন নেওয়ার যোগ্য। এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিবাসীকে এই টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই টিকাকরণ সূচি যাদের জন্য সফল হয়েছে, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদেরও কুর্নিশ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


তবে এরই মাঝে কেন্দ্রের প্রতি ভ্যাকসিন নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। কেজরিওয়াল বলেন, ''টিকার অভাব থাকায় দ্রুত ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। নয়তো, আরও তাড়াতাড়ি এই কাজ করা যেত।'' দিল্লি সরকারের তথ্য বলছে, দিনে (৫০,০০০-৭০,০০০) ভ্যাকসিনের ডোজ পাচ্ছে রাজধানীর বাসিন্দারা। যদিও এতে সন্তুষ্ট নন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। 


তাঁর মতে, ''কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত টিকার ব্যবস্থা করলে প্রতিদিন ৩ লক্ষ ভ্যাকসিন দিতে পারত দিল্লি। এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দিল্লি সরকার। আমার ধারণা, দিল্লি ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যের জন্য আরও দ্রুত পর্যাপ্ত কোভিড টিকার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ দ্রুত শেষ করতে যা অত্যন্ত প্রয়োজন।''


দিল্লির সাম্প্রতিক চিত্র বলছে, কদিন আগেই ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম পদ্ম পুরস্কারে সুপারিশের কথা বলেছিলেন কেজরিওয়াল। পরে এক ধাপ এগিয়ে পরিবেশবিদ সুন্দরলাল বহুগুণাকে 'ভারত রত্ন' দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দিল্লি বিধানসভায় বহুগুণাকে ভারত রত্ন দেওয়ার প্রস্তাব পাশ হয়েছে।এ প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''সুন্দরলাল বহুগুণাকে ভারতরত্ন দেওয়ার বিষয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও একই প্রস্তাব রাখবে দিল্লি সরকার। পরিবেশ রক্ষা ছাড়াও উনি অনেক সামাজিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।''