নয়াদিল্লি: সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত (Daily COVID Cases) ঠেকাতে আরও কড়াকড়ি দিল্লিতে (Delhi New Restrictions)। এত দিন ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে রেস্তরাঁ-পানশালা চালানোর অনুমতি থাকলেও, এ বার বসে খাওয়ার পাটই তুলে দেওয়া হল। শুধুমাত্র টেক অ্যাওয়ে অর্থাৎ ফোনে বা অনলাইন মাধ্যমে খাবার অর্ডার দিয়ে তা সংগ্রহ করা যাবে। 


এর আগে সপ্তাহান্তে কার্ফু (Weekend Curfew) চালু করে সংক্রমণবৃদ্ধি আটকানোর চেষ্টা হয়েছিল রাজধানীতে। তাতেও তেমন ফল না মেলায় সোমবার নয়া পদক্ষেপ করা হয়। এ দিন দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক করেন। সেখানেই সংক্রমণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং ওমিক্রন ঘিরে বিপদ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের নেতৃত্বেই এ দিন বৈঠকটি হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরিবন্দ কেজরিওয়ালও। সেখানেি আরও কড়া বিধিনিষেধ চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 


আরও পড়ুন: Nitish Kumar Corona Positive : এবার করোনায় আক্রান্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী


তবে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিলেও, এখনই লকডাউনের (Lockdown) কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানা গিয়েছে। তবে বাস এবং মেট্রোয় আসনসংখ্যা কমানো হতে পারে। হাসপাতালগুলিতে যাতে পর্যাপ্ত কর্মী থাকেন, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তা নিশ্চিত করতে দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন বৈজল। 


বর্তমানে দিল্লির দৈনিক সংক্রমণ ১৯ হাজারের উপরে রয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ২৫ শতাংশের আশেপাশে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওমিক্রনের থাবা বসানোতেই হু হু করে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে বলে মনে করছে দিল্লি সরকার। এর আগে, করোনার ডেল্টা প্রজাতির প্রকোপ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে নেমে এসেছিল দিল্লিতেই। যদিও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তেমন গুরুতর উপসর্গ নেই। কিন্তু ওমিক্রন যেহেতু ডেল্টার চেয়েও বেশি সংক্রামক, তাই পরিস্থিতিতে হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয় বলে মত চিকিৎসকদের।